খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ ট্রেনিং সেন্টারে দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী গ্রেফতার
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ট্রেনিং সেন্টার অভিযান চালিয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ একজন সন্ত্রাসীকে আটকের দাবী করেছে পুলিশ। তবে দাবী প্রত্যাখান করে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী এ ঘটনাকে পুলিশের সাজানো ও জেলা পরিষদ হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে বলে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান, সোমবার দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, রবিবার রাতে জেলা শহরের শাল বাগানের এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষে দুই নারীসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়।
পুলিশ রাতভর অভিযান চালিয়ে উভয় গ্রুপের ছয় জনকে আটক করে। তার মধ্যে রাত ৪টার দিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের ট্রেনিং সেন্টারের দু’তলায় অভিযান চালিয়ে বিপুল দেশীয় অস্ত্রসহ হাসমত(২৫) নামে এক সন্ত্রাসীকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা হয়েছে।
অপর দিকে খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান’র বক্তব্য প্রত্যাখান করেছেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী। তিনি পূর্ব অনুমতি ছাড়া জেলা পরিষদ ট্রেনিং সেন্টারে পুলিশ অভিযানকে আইনে সুস্পষ্ট লংঘন বলে দাবী করে বলেন, জেলা পরিষদকে জনগণের কাছে হেয় ও ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে পুলিশ এ নাটক সাজিয়েছে।
তিনি জেলা পরিষদ আইনের ব্যাখা দিয়ে বলেন, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদগুলো জেলার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান। এ পরিষদের চেয়ারম্যান জেলা উন্নয়ন সমন্বয় সভার সভাপতি। জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপাররা এ কমিটি সদস্য। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এনজিও সমন্বয় সভার সভাপতি। এ কমিটিতে জেলা প্রশাসক সচিব ও পুলিশ সুপাররা সদস্য। এছাড়া জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির উপদেষ্টা। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বর্তমানে জেলার হস্তান্তরিত ২৪টি বিভাগের প্রধান।
কংজরী চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ সন্দেহ হলে যে কোন প্রতিষ্ঠানে তল্লাসী চালাতে পারে। আমাকে বা আমার কোন কর্মকর্তাকে জানানো হলে অবশ্যই তল্লাসী চালানোর সুযোগ করে দেওয়া হতো। অথচ পুলিশ তা করেনি। এটি অত্যন্ত দু:খজনক।
প্রসঙ্গত, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে রবিবার রাতে খাগড়াছড়ি শহরের শাল বাগানের দলীয় কোন্দলের জেরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের পাল্টা-পাল্টি হামলায় নারীসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ি-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ পরস্পরকে দায়ী করছে।