Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যানসহ শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে মেয়র রফিকের মামলা

Khagrachari Picture 21-01-2017
নিজস্ব প্রতিবেদক:
জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার রইছ উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারী খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরীসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা করেছে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম। দুই গ্রুপের সহিংতার জেরে পৃথক মামলায় উভয় গ্রুপের পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রশাসন উভয় পক্ষকে সকল কর্মসূচী স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে।

শুক্রবার দুপুর পৌনে ১২টার আদালত সড়ক এলাকায় খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের জেলা কমান্ডার মো. রইছ উদ্দিনের এ হামলার ঘটনা ঘটে। তাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ হান্নান পার্বত্যনিউজকে জানান, মো. রইছ উদ্দিনের উপর হামলার ঘটনায় শুক্রবার রাতে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভপতি কংজরী চৌধুরীসহ প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীকে আসামী করেছে। মামলায় ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে বাকিদের অজ্ঞাতনামা হিসেবে আসামী করা হয়েছে।

অপর দিকে বুধবার রাতে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের অনুসারী শুক্কুর মিয়া ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার অনুসারী জেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত পৃথক মামলায় উভয় গ্রুপের পাঁচনজকে আটক করেছে পুলিশ।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান পার্বত্যনিউজকে জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়।

আটককৃতরা হচ্ছেন, খাগড়াছড়ি শহরের শালবনের বাসিন্দা ইসলাম উদ্দিনের দুই ছেলে মো. জামাল উদ্দিন(২৫) ও মো. কামাল উদ্দিন, কুমিল্লা টিলার জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. মামুন মিয়ার(২২), নজির আহমেদের ছেলে মনির হোসেন(৩৬) ও আবুল কাসেমের ছেলে নুরু আহম্মদ।

প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে জেলা শহরের শালবনে আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদুল আলমের গ্রুপের শুক্কুর আলীর উপর হামলা হয়। এ ঘটনায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির অনুসারী আওয়ামীলীগের ১১ নেতাকর্মীকে আসামী করে মামলা হয়। অপর দিকে বৃহস্পতিবার সকালে  শহরের কলেজ রোডে জেলা আওয়ামীলীগের  ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য  নির্মলেন্দু চৌধুরীর উপর হামলা হয়। এ ঘটনায় বৃহসপতিবার রাতে খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ হোসেন বাদী হয়ে বহিষ্কৃত জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তার ছোট ভাই মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৮ জনকে আসামী করে মামলা করেন। এ নিয়ে শহরের পাল্টা-পাল্টি কর্মসূচী নিয়ে মাঠে নামে উভয় গ্রুপ। হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।

খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী (বিপিএম সেবা) পার্বত্যনিউজকে বলেন, জেলার আইনশৃংখলা স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের অবস্থান কঠোর রয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। প্রশাসন উভয় গ্রুপের সাথে বৈঠক করে সকল কর্মসূচীর স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছে। অনুরোধ রক্ষা না করলে পুলিশ সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় কঠোর ব্যবস্থা নিবে। ।

গত পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর পর থেকে প্রতিনিয়ত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের অনুসারীদের পাল্টা-পাল্টি হামলা, মামলা ও ভাংচুরে লিপ্ত হয়ে আসছে। এ সময় উভয়ের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মামলা, হামলায় উভয়ের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী-পথচারী আহত হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন