খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর পরিত্যক্ত ক্যাম্পের ভূমি থেকে মন্দির সরিয়ে নিতে সময় চেয়েছে পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার দেবতা পুকুর এলাকায় সেনাবাহিনীর পরিত্যাক্ত ক্যাম্পের ভূমি থেকে মন্দির সরিয়ে নিতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সময় চেয়েছেন স্থানীয় পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ।
সোমবার(১২ নভেম্বর) সকালে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় এ সময় চেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন, সভার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম।
এ সময় খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার মোহা: আহমার উজ্জামান, খাগড়াছড়ি রিজিয়নের স্টাফ অফিসার মেজর মো. রফিকুল ইসলাম, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য খোকনেশ^র ত্রিপুরা ও হেডম্যান ক্ষেত্র মোহন রোয়াজাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, সভায় খাগড়াছড়ির সদর উপজেলার দেবতা পুকুর এলাকায় নির্মাণাধীন মন্দির নির্মাণ নিয়ে সৃষ্ট জটিলতা শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের লক্ষে নির্মাণাধীন মন্দিরটি অন্যত্র সরিয়ে নিতে পাহাড়ি নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ জানানো হয়। পাহাড়ি নেতৃবৃন্দ আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে নির্মাণাধীন মন্দিরটি অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে উপস্থিত হেডম্যান ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা জানান, মঙ্গলবার তারা মন্দির নির্মাণে উদ্যোক্ততাদের সাথে বসবেন। সেখানে তারা উদ্যোক্ততাদের মন্দিরটি সরিয়ে নিতে অনুরোধ জানাবেন। যদি ব্যর্থ হয় তাহলে বিষয়টি লিখিতভাবে জেলা প্রশাসনকে জানাবেন।
স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, সম্প্রতি খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার দেবতা পুকুর এলাকায় সেনাবাহিনীর পরিত্যাক্ত ক্যাম্পের ভূমিতে একটি লক্ষীনারায়ন মন্দির নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। বিষয়টি প্রশাসনের নজড়ে আসলে উদ্যোগক্তাদের সাথে কয়েক দফা বৈঠক হয়। স্থানীয় প্রশাসনের মধ্যস্থায় এবং গ্রামবাসীর সদিচ্ছায় উদ্যোগক্তরা সোমবার(১২ নভেম্বর) লক্ষীনারায়ন মন্দিরটি অন্যত্র একটি বৈধ জমিতে সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু রবিবার থেকে(১১ নভেম্বর) থেকে ফের লোকজন এসে আবার মন্দিরটি নির্মাণ কাজে হাত দেয়।
অভিযোগ রয়েছে, প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ পরিকল্পিতভাবে রবিবার সকাল থেকে আশে পাশের গ্রাম থেকে কিছু নারী-শিশুকে জড়ো করে।