খাগড়াছড়িতে সিরিজ বোমা হামলায় জেএমবি ১৫ সদস্যের যাবজ্জীবন সাজা ও অর্থদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় জেএমবি ১৫ সদস্যের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও অর্থদণ্ড দিয়েছে খাগড়াছড়ির বিশেষ আদালত।

সোমবার(২৩এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৪টায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, ১৯০৮ সালের ৩/৪/৬ ধারায় বিচার রত্নেশ^র ভট্টাচার্য্য এ রায় দেন। আদালতে আবুল কালাম আজাদ নামে এক আসামিকে খালাস দিয়েছে। এ মামলায় বেলাল হোসেন নামে এক আসামি পলাতক রয়েছে।

আদালত মো. আরিফুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. রুহুল আমিন, মো. করিম আলী, মো. ইসমাইল হোসেন জমাদ্দার, মো. মঞ্জু মিয়া, রুহুল আমিন সুফীকে বিস্ফোরক দ্রব্য আইন, ১৯০৮ এর ৩ ধারায় দোষী করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০,০০০ (বিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন এবং একই আইনের ৪ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে ১০ (দশ) বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন। মামলার অপর আসামি এরশাদ ওরফে  সাকিব খান, মো. বেলাল মিয়া, মো. হাফেজ মো. হাসান আল মাহমুদ, মো. আসাদুজ্জামান, মো. এমদাদুল হক, মো. ফারুক হোসেন, মো. এনায়েত উল্লাহ, আবুজর এর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৩ ও ৬ ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে প্রত্যেককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বিশ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ০৬ (ছয়) মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

আদালত মো. আবুল কালাম আজাদ’র বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন। আদালত উভয় ধারার সাজা একত্রে চলবে বলে আদেশ দেন।

প্রসঙ্গত,২০০৫ সালে ১৭ আগস্ট সারা দেশের ন্যায় খাগড়াছড়ি আদালত প্রাঙ্গনসহ ৪ স্থানে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এ ঘটনায় খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার ফাতেমা নগর এলাকা থেকে জেএমবি’র আঞ্চলিক কমান্ডার আরিফুল ইসলাম ওরফে নাসিরকে আটক করা হলে বেরিয়ে আসে সারা দেশে সিরিজ বোমা হামলার চাঞ্চল্যকর তথ্য। একে একে ধরা পড়ে শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমার ওরফে বাংলা ভাইসহ জেএমবি’র শীর্ষ নেতারা। ইতিমধ্যে সিরিজ বোমা হামলার মামলার ১৮ আসামীর মধ্যে অন্যতম দুই আসামি শায়খ আব্দুর রহমান ও সিদ্দিকুর রহমান ওরফে বাংলা ভাইয়ের ফাঁসির আদেশ কার্যকর করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন