খাগড়াছড়িতে মা ও শিশু কেন্দ্রের সামনে সিএনজিতে বাচ্চা প্রসব

 

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি

খাগড়াছড়ি মা ও শিশু কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক ও নার্স না থাকায় কেন্দ্রের সামনে সিএনজিতে  মৃত বাচ্চা প্রসব করেছে রুনা ত্রিপুরা নামে এক মা। রুনা ত্রিপুরা খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার ইরিন ত্রিপুরার স্ত্রী। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় কেন্দ্রের সামনে সিএনজিতে অপেক্ষারত অবস্থায় প্রসব যন্ত্রণায় ওই মা মৃত বাচ্চা প্রসব করে বলেও জানান প্রত্যক্ষদর্শী ও রোগীর স্বজনরা।

সরেজমিনে বিকেল সাড়ে ৫টায় মা ও শিশু কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায় দায়িত্বপ্রাপ্ত নার্স বিথীকা চাকমা অনুপস্থিত। তার সহকারী আয়েশা আক্তার জানান, নার্স বাজারে যাবেন বলে এক ঘন্টা আগে বের হয়েছে। রোগী আসার পর ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

প্রত্যক্ষদর্শী মিন্টু দত্ত জানান, বিকেল সাড়ে ৪টায় ওই রোগীকে মা ও শিশু কেন্দ্রে আনার পর স্বজনরা অফিসে গিয়ে ভর্তি করাতে চাইলে কাউকে না পেয়ে রোগীকে সিএনজিতে রেখে অপেক্ষা করার সময় বিকেল ৫টার দিকে সিএনজির উপর বাচ্চা প্রসব করেন।

রুনা ত্রিপুরার শ্বাশুড়ী শুকনতলা ত্রিপুরা অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলের বউয়ের বাচ্চা প্রসবের জন্য মা ও শিশু কেন্দ্রে আনার পর দীর্ঘ সময় অপেক্ষায় থেকেও ভর্তি করাতে পারিনি। তখন সেখানে কোন চিকিৎসক বা নার্স না থাকায় সিএনজির উপর মৃত বাচ্চা প্রসব করে। পরে তাকে সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়। এখন সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

বিকেল সাড়ে ৬টায় কেন্দ্রে ফিরে এসে নার্স বিথীকা চাকমা জানান, আমার ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে ডা. আশুতোষ চাকমাকে বলে আমি কেন্দ্র থেকে বের হয়। কাজ শেষ করে আমি কেন্দ্রে ফিরেছি।

মা ও শিশু কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আশুতোষ চাকমাকে এবিষয়ে জানতে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ পরিচালক ডা. বিপ্লব বড়ুয়া জানান, ঘটনাটি শোনার পর মা ও শিশু কেন্দ্রে লোক পাঠিয়েছি। বিষয়টি তদন্তের পর পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন