খাগড়াছড়িতে বঙ্গবন্ধুর নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সরকারি জায়গা দখল
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়ি শহরে প্রশাসনের নাকের ডগায় ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ নামে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে একটি সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যে রাতের অন্ধকারে বাঁশের বেড়া দিয়ে ঘেরা তৈরি করে সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। তবে কে বা কারা এই সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে সরকারি জায়গা দখলের চেষ্টা করছে তা নিয়ে মুখ খুলছে না কেউই।
নাম প্রকাশ না করা শর্তে স্থানীয় সূত্রে কয়েকজন জানায়, খাগড়াছড়ি শহরের হাসপাতাল গেইট এলাকায় গণপূর্ত বিভাগের সরকারি কোয়ার্টার সংলগ্ন সরকারি জায়গাটি দীর্ঘদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। বিভিন্ন সময় পরিত্যক্ত ভূমিটি দখলে নেয়ার চেষ্টা চালায় স্থানীয় বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী। সর্বশেষ গত ৫ ডিসেম্বর রাতের অন্ধকারে ওই জায়গায় বেড়া দিয়ে ঝুঁলিয়ে দেয়া হয় ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ নামে একটি সাইনবোর্ড।
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, তার(দখলের চেষ্টার) পাশে দুই সপ্তাহ আগে দোকান ঘর বসায় জনৈক আব্দুর রউফ সওদাগর টিনের একটি টঙের দোকান তোলে। তার এক সপ্তাহ পর তার পাশের জায়াগায় ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলানো হয়।
আব্দুর রউফ সওদাগর তার দোকানঘর তোলা জায়গাটি জনৈক আব্দুর রহমানের দাবি করে বলেন, ‘এখানে আমার কোন জায়গা নেই। তাই দোকানঘরটি তুলেছি। তবে এ বিষয়ে আব্দুর রহমানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান অপু জানান,‘হাসপাতাল গেইট সংলগ্ন সরকারি জায়গা দখল করার জন্য ভূমি দুস্য চক্রটি বঙ্গবন্ধু নাম ভাঙ্গিয়ে সাইনবোর্ড ঝুলিয়েছে। এই নামে কোন সংগঠনের অস্তিত্ব নেই। এরা কেউ রাজনীতির সাথে জড়িত নয়।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ নামে কোন সংগঠনের কার্যক্রম খাগড়াছড়ি জেলায় আছে কিনা আমার জানা নেই। তবে এই বিষয়ে খোঁজ খবর নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব। তবে কেউ যদি বঙ্গবুন্ধর নাম ভাঙিয়ে জায়গা দখলের চেষ্টা করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
গণপূর্ত বিভাগের সাব ডিভিশনাল প্রকৌশলী রমেন দাশগুপ্ত বলেন,‘আমাদের কোর্য়াটার সংলগ্ন জায়গা ‘বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক গোষ্ঠী’ নামে একটি সংগঠন বেড়া দিয়ে জায়গা করা কথা শুনেছি। এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
