খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব বৈসাবির উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর প্রাণের উৎসব “বৈসাবি’র উদ্বোধন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।
রবিবার (৮এপ্রিল) সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে আয়োজিত তিন দিনব্যাপী “বৈসাবি” এ উৎসবের উদ্বোধন করেন তিনি।
এ সময় খাগড়াছড়ি ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ লে.কর্ণেল আব্দুল্লাহ আল সাদিক, খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম টাস্কফোর্সের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কৃষ্ণ চন্দ্র চাকমাসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে অনুষ্ঠিত পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।
বৈসাবি উৎসবকে ঘিরে খাগড়াছড়ি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গণে মেলা বসেছে।
১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত তিন সম্প্রদায়ের বিভিন্ন সংগঠনের সম্মিলিত উদ্যোগে ‘বৈসাবি’ নামে এ উসব পালন করে আসছে। যা সময়ের ব্যবধানে নিজ নিজ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে ‘বৈসাবি’ শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা সম্প্রদায় তাদের নিজস্ব নামে ‘ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, মারমা ভাষায় সাংগ্রাই এবং চাকমা ভাষায় বিজু’ নামে এ উৎসব পালন হয়ে থাকে। এ তিন সম্প্রদায়ের নিজস্ব ভাষার নামের প্রথম অক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামকরণ করা হয়।
ত্রিপুরা, মারমা ও চাকমা ছাড়াও পার্বত্য চট্টগ্রামে তঞ্চঙ্গ্যা,বম, খিয়াং, লুসাই, পাংখোয়া, ম্রো, খুমি, আসাম, চাক ও রাখাইনসহ অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীগুলো নিজস্ব বৈশিষ্ট্য নিয়ে তাদের ভাষা-সংস্কৃতি ও অবস্থানকে বৈচিত্রময় করে করে তুলতে প্রতি বছর চৈত্রের শেষ দিন থেকে ‘বৈসাবি’ উৎসব পালন করে থাকে।
বৈসাবি উৎসবের মধ্য দিয়ে পাহাড়ী-বাঙ্গালীর মধ্যে শান্তি-সম্প্রীতি ও ঐক্য আরো সু-দৃঢ় হোক এই প্রত্যাশা সকলের।