খাগড়াছড়িতে তৃতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে কংজরী চৌধুরী অভিষিক্ত
মুজিবুর রহমান ভুইয়া :
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামলীগের সাবেক সভাপতি ও আভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা‘র পর তৃতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে অভিষিক্ত হলেন খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামলীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী। তিনি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলাধীন গুইমারা চৌধুরীপাড়ার মংসাজাই চৌধুরীর ছেলে।
পার্বত্য শান্তিচুক্তি, গেরিলা বাহিনী শান্তিবাহিনীর অস্ত্র সমর্পণসহ নানা ঐতিহাসিক ঘটনার স্বাক্ষী খাগড়াছড়ির বিভিন্ন জনপদে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান তথা জেলার তৃতীয় শীর্ষ নেতা এমন আলোচনা চলছে ঠিক তখনই এ পদের শক্তিশালী দাবীদার খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের দীর্ঘসময়ের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাইথোঅং মারমা ও খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম ত্রিপুরা-কে পেছনে ফেলে জেলার তৃতীয় শীর্ষনেতা হিসেবে নিজেকে অভিষিক্ত করলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কংজরী চৌধুরী।
খাগড়াছড়ি পাবর্ত্য জেলা জেলা পরিষদ সবসময়ই চেয়ারম্যান পদটি ‘ত্রিপুরা’ সম্প্রদায়ের জন্য নির্ধারিত থাকলেও এবারই প্রথম সরকারের উপর মহলে এ নীতি পরিবর্তনের মাধ্যমে মারমা সম্প্রদায় থেকে কংজরী চৌধুরীকে চেয়াম্যান পদে নিয়োগ দেয়া হয়।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ার জন্য সরকারের প্রতি আনুগত্য, ক্লীন ইমেজ এবং অতীত অভিজ্ঞতার কারণে চাইথোঅং মারমা ‘হট ফেভারিট’ হিসেবে এবং খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামলীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রণবিক্রম ত্রিপুরা। বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি‘র বড় ভাই হওয়ার সুবাধে এগিয়ে থাকলেও এ দুজনকে পেছনে ফেলে কংজরী চৌধুরী চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়ায় জেলার মারমা জনগোষ্ঠিতে বইছে আনন্দ বন্যা।
স্বাধীনতার মাসের শেষ সপ্তাহে মারমা সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রভাবশালী নেতা কংজরী চৌধুরী‘র খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ পাওয়াকে তাদের জন্য াড় অর্জন হিসেবেই দেখছেন মারমা সম্প্রদায়ের লোকজন। মাটিরাঙ্গার ধলিয়া মৌজার হেডম্যান ও মারমা নেতা চাইলাপ্রু চৌধুরী মনে করেন, সরকার মারমা সম্প্রদায়ের প্রতি ন্যায় বিচার করেছে। তিনি বলেন, এ নিয়োগের মাধ্যমে মারমা সম্প্রদায়কে উন্নয়নের মুলস্্েরাত ধারায় যুক্ত করা হলো।
এদিকে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তবর্তীকালীন পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী‘র সাথে কথা হলে তিনি পার্বত্যনিউজকে বলেন, খাগড়াছড়ির পিছিয়েপড়া এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক-সম্প্রীতি অক্ষুন্ন রাখাই হবে আমার প্রধান কাজ। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের অন্তবর্তীকালীন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে নিয়োদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর এমপি ও স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাসহ দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে দায়িত্ব পালনে সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।