খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডে মোমিন রিমান্ডে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অটোরিক্সা উদ্ধার

ফলোআপ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:

খাগড়াছড়িতে ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়েছে। রিমান্ডে থাকা মো. রমজান হোসেন মোমিনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে শনিবার(৭এপ্রিল) ভোর রাতে শহরের মধুপুর এলাকায় একটি গ্যারেজ থেকে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা হয়।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতারকৃত মো. রমজান হোসেন মোমিনকে বৃহস্পতিবার দুই দিনের রিমান্ডে আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এসআই সাদ’র নেতৃত্বে পুলিশ ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অটোরিক্সাটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।

তিনি আরও জানান, অটোরিক্সাটি কিলার সুমনের। সুমনকে গ্রেফতার করা গেলে রাসেল হত্যাকাণ্ডে পুরো রহস্য উদঘাটিত হবে।

গত ২৪ মার্চ রাতে খাগড়াছড়ি শহরের মিলনপুর এলাকায় ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থিত ছাত্রলীগ কর্মী মো. রাসেলকে। ঘটনার পরের দিন রাসেলের মা বাদী হয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন।

গত ৫ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) মামলার আসামি মো. রমজান হোসেন মোমিনকে খাগড়াছড়ি পৌরসভা ভবন থেকে পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম পুলিশের হাতে তুলে দেন।

এ বিষয়ে ব্যাখা দিতে গিয়ে খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম বলেন, সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার সমর্থকদের সাথে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়। হত্যাকাণ্ডের পর থেকে মোমিন বিভিন্ন নেতার কাছে আশ্রয় চেয়েছে। কিন্তু কেউ তাকে আশ্রয় দেয়নি। পরে আমাদের কাছে আশ্রয় চাইলে আমরা তাকে আশ্রয়ের আশ্বাসে খাগড়াছড়ি আসতে বলি।

মো. রমজান হোসেন মোমিন জানান, কয়েক মাস আগে মোমিনের বন্ধু অটোরিক্সা চালক সুমনকে মারধর ও টাকা ছিনিয়ে নেয় রাসেল ও তার বন্ধুরা। ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় রাসেলসহ কয়েকজনকে মিলনপুর ব্রিজে বসে থাকতে দেখে সুমন ৭-৮ জন বন্ধুকে সাথে নিয়ে রাসেলকে মারধর করে। মারধরের এক পর্যায়ে সুমনই রাসেলকে ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাঘাতের পর রাসেল ঢুলিয়ে পড়লে সবাই চলে যায়। পরবর্তীতে রাসেলের মৃত্যুর খবরের পর সবাই পালিয়ে যায় বলে জানায় মোমিন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু জানান, ছাত্রলীগ কর্মী রাসেল শেখ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এজাহারভূক্ত তিন আসামীসহ ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামীদেরও গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন