খাগড়াছড়িতে চাকুরি দেয়ার নামে পরিবার পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ও অফিস সহকারীর বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
আবুল কাশেম, খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:
খাগড়াছড়ির পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া ও অফিস সহকারী আজিমুল হক এর বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নৈশ প্রহরী নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত স্বাপেক্ষে উক্ত কর্মকর্তা ও অফিস সহকারীর দূর্নীতি, প্রতারণা ও ঘুষ গ্রহণের বিষয়ে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছে নিয়োগের পাঁচ মাস পর চাকরীহারা চার নৈশ প্রহরী।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, চাকুরীচ্যুত চার নৈশ প্রহরী স্বাক্ষরিত পার্বত্য জেলা পরিষদ, খাগড়াছড়ির চেয়ারম্যান বরাবরে ২০ অক্টোবর দায়ের করা অভিযোগ পত্রে জানা যায়, চাকুরীতে নিয়োগের সময় জনপ্রতি ১ লাখ করে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে অভিযোগকারীরা উক্ত পদে নিয়োগ লাভ করার পরও চাকুরীহারা হয়ে এ দুই ব্যাক্তির বিরুদ্ধে ঘুষ, দূর্ণীতি ও প্রতারণার অভিযোগ করেছে।
অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর ঢাকার স্মারক নং পপঅ/এফএসডিপি/০৭/ (ক্রয়) ০৪/২০১২-১৩খ্রিঃ এর নিদের্শ মতে উপ-পরিচালক,খাগড়াছড়ির পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্মারক নং জেপপ/ খাগড়া/ অগুআ/ নিয়োগ ২০১৩/৮৭ তাং ০৩/০২/২০১৩ইং মূলে মাটিরাঙ্গা ও দিঘীনালা উপজেলার ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে ৪ জন নৈশ প্রহরী নিয়োগ প্রদান করে খাগড়াছড়ি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া। উপ-পরিচালকের স্বাক্ষরিত নিয়োগ পত্র মূলে ৫ মাস চাকুরি ও বেতন-ভাতা ভোগ করেছে ভূক্তভোগী চার নৈশ প্রহরী। কিন্তু পাঁচ মাস চাকুরীকাল শেষ করার পর স্ব স্ব স্থাস্থ্য কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মূলে জানতে পারে তাদের আর চাকুরী নাই। নিয়োগ পাওয়ার সময়ে উপ-পরিচালকের হাতেই জন প্রতি ১ লাখ টাকা করে চার জনে ৪ লাখ টাকা ঘুষ ও দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেছেন ভুক্তভোগী নৈশ প্রহরীরা।
অভিযোগকারী মো. সাজু মিয়া, সোহরাব হোসেন, জসিম উদ্দিন, মোমিনুল ইসলাম জানান, চাকরী হারাবার পর উপ-পরিচালকের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এক মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দেয়ার কথা বললেও এখন তা অস্বীকার করছেন। চাকুরির আশায় টাকা দিয়ে এখন চাকুরি হারিয়ে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ বিষয়ে অভিযোগকারী মোঃ সাজু মিয়ার সাথে কথা হলে তিনি আরো জানান, চাকরী দেয়ার নামে উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া ও আজিমুল হক আমাদের সাথে প্রতারণা করেছেন।
এ বিষয়ে খাগড়াছড়ি পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক বিপ্লব বড়ুয়া জানান, আমি ওদেরকে চিনি না। সুতরাং ঘুষ নেওয়ার প্রশ্নই আসে না। অফিস সহকারী আজিমুল হক বলেন, অভিযোগকারীর মধ্যে মো. সাজু মিয়া ছাড়া অন্যদের চিনি না। আমার বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ দাখিল করা হয়েছে।
Ami khagrachari jela correspondent Abul kasem ke PARBATTA NEWS .COM e jogdan karai tar ujjol vobisyt kamana korsi .