খাগড়াছড়িতে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনের স্বীকারোক্তি, দুই জনের সাত দিন করে রিমান্ড আবেদন
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে স্কুল ছাত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় আটক পাঁচজনের মধ্যে তিনজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। পর দুই জন জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়ায় সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সাহাদত হোসেন টিটু জানান, শুক্রবার (২২ জুন) সন্ধ্যা পর্যন্ত সাইফুল ইসলাম, আনোয়ার হোসেন ও রুবেল হোসেন খাগড়াছড়ি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো. নোমানের আদালতে স্বীকারোক্তিমূল জবানবন্দি দেয়। অপর দুই আসামী মোজাম্মেল হোসেন ও সাখায়াত হোসেন আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি না হওয়া প্রত্যেককে সাত দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।
বৃহস্পতিবার (২১ জুন) দুপুর ২টার দিকে খাগড়াছড়ির বিনোদন কেন্দ্র জেলা পরিষদ পার্কে বন্ধকে নিয়ে বেড়াতে এসে এক স্কুল ছাত্রী গণধর্ষনের শিকার হয়। ধর্ষিতা স্কুল ছাত্রী খাগড়াছড়ির পাঁচ মাইলের কালাপানি ছড়া এলাকার বাসিন্দা। খাগড়াছড়ি আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেনীর ছাত্রী।
স্থানীয় এক চায়ের দোকানদার ঘটনাটি দুর থেকে দেখতে পেয়ে অন্যদের সহযোগিতায় কয়েকজনকে আটক করেন। পরে খবর দিলে পুলিশ এসে অভিযান চালিয়ে অন্তত ১৫ জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে নির্যাতিতা আটককৃতদের মধ্যে পাঁচ ধর্ষককে সনাক্ত করে। এরা হচ্ছে, খাগড়াছড়ি জেলা সদরের দক্ষিণ গঞ্জপাড়ার বাসিন্দা আবুল কাসেমের ছেলে, মোজ্জাম্মেল হোসেন, একই গ্রামের বাসিন্দা আলী হোসেনের ছেলে আনোয়ার আনোয়ার হোসেন,সামসুল ছেলে সাখায়াত হোসেন বাবু ,জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাইফুল আসলাম অন্তর ও নরসিংদীর হাজিপুরের বাসিন্দা ইস্রাফিলের ছেলে রুবেল হোসেন।
এ ঘটনায় নির্যাতিতা স্কুল ছাত্রী আট ধর্ষককে আসামী করে থানায় মামলা করে।পুলিশ আরো তিন ধর্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে। ধর্ষিতাকে খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ধর্ষিতার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য তিন সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।
খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার (এসপি) আলী আহমেদ খান জানান, এ গণধর্ষণের ঘটনায় ৮ জন জড়িত। নির্যাতিতা কিশোরী আটকদের মধ্যে পাঁচ ধর্ষককে সনাক্ত করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
গণধর্ষণ কারিদের শাস্তি চাই
Rape is the only punishment, criminal male sex stick should be cut off ..