খাগড়াছড়িতে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
সিনিয়র রিপোর্টার:
দ্বিধাবিভক্ত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহেদুল আলম গ্রুপ খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন। সোমবার বিকেলে খাগড়াছড়ি জেলা শহরের শাপলা চত্বরে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।
এর আগে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে এমপি বিরোধী অংশের সমর্থকরা সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার কুশপুত্তলিকা নিয়ে শহরে বিক্ষোভ মিছিল করে। বিক্ষোভ মিছিল শেষে শাপলা চত্বরে এসে কুশপুত্তলিকায় অগ্নিসংযোগ করতে চাইলে পুলিশ কুশপুত্তলিকাটি ছিনিয়ে নেয়। পরে সেখানেই বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাহেদ সমর্থকরা।
খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক মো. দিদারুল আলম, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুন্নবী, জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক মো. আবুল কাশেম ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জহির উদ্দিন ফিরোজ প্রমূখ অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন।
বক্তারা খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে অবিলম্বে তাকে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি নেয়ার হুঁশিয়ারী দেন। রোববার খাগড়াছড়ি সদরের শালবন এলাকায় সংগঠিত সংঘর্ষের ঘটনায় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপির ইন্ধন রয়েছে অভিযোগ করে অবিলম্বে ওই ঘটনায় দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানান।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচন ইস্যুকে কেন্দ্র করে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়ে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ। বিভক্ত আওয়ামী লীগের এক অংশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং অন্য অংশটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য মো. জাহেদুল আলম। দ্বি-ধারায় বিভক্ত জেলা আওয়ামী লীগে এ যাবৎ দুটি অংশের নেতাকর্মীদের মধ্যে কয়েক দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।