খাগড়াছড়িতে ইতি চাকমা হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামী রাজু চাকমা আটক
নিজস্ব প্রতিবেদক, খাগড়াছড়ি:
খাগড়াছড়িতে চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ইতি চাকমা হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী রাজু চাকমা আটক হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ২টায় জেলা শহরের স্টেডিয়াম এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর ও পুলিশের যৌথ অভিযানে সে আটক হয়। ইতি চাকমা হত্যাকান্ড ছাড়াও রাজ চাকমা আরো ১২ টি মামলার আসামী। তাকে বিকালে আদালতে হাজির করা হবে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক আব্দুল হান্নান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম সালাহউদ্দিনের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী ও পুলিশ জেলা শহরের স্টেডিয়াম এলাকায় জনৈক জয় চাকমার বাসায় অভিযান চালিয়ে রাজু চাকমাকে আটক করতে সক্ষম হয়। পুলিশ জানায়, রাজু চাকমা এক সময় ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের নেতা ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৭ ফেব্রæয়ারী রাতে জেলা সদরের আরামবাগ এলাকায় দুর্বৃত্তরা খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইতি চাকমাকে গলা কেটে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে চট্টগ্রাম বিভাগের সিআইডি’র সহযোগীতা নেয় খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর প্রেমিক তুষার চাকমা আটক হলে ইতি চাকমা হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচিত হয়।১১ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি জ্যেষ্ঠ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান মো: নোমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন তুষার চাকমা ।
তুষার চাকমা জানায়, রনি চাকমার সাথে ইতি চাকমার দীর্ঘ দিনের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু সম্পর্ক বিচ্ছেদ হওয়ায় খাগড়াছড়ি সরকারী কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ইতি চাকমাকে পরিকল্পনা করা হয়। সে পরিকল্পনা মতে হত্যাকান্ডে তিনি ও রাজু চাকমাসহ ৫ জন অংশ নিয়েছিল।
ইতি চাকমাকে প্রথমে শ্বাসরোধ ও পরে জবাই করে হত্যা করা হয়। ইতি চাকমার হত্যাকান্ডকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য ইউপিডিএফ সমর্থিত পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ সহ বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিবাদ সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচী পালন করে।
মূলত: ইতি হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্টির অপচেষ্টা ছিল তাদের। এ সব কর্মসূচীতে রাজু চাকমা ও তুষার চাকমাসহ হত্যাকারীরাও অংশ নেয়।