খাগড়াছড়িতে আ’লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আশংকাজনক অবস্থায় ৪ জন চট্টগ্রাম মেডিকেলে

নিজস্ব প্রতিবেদক/খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি:

খাগড়াছড়ি শহরের শাল বাগানের দলীয় কোন্দলের জেরে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের পাল্টা-পাল্টি হামলায় নারীসহ ৬ জন গুরতর আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে আশংকাজনক অবস্থায় চারজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বাড়ী-ঘরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জন্য দুই গ্রুপ পরস্পরকে দায়ী করছে। জড়িতদের গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান চলছে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত ৮টার দিকে খাগড়াছড়ি শহরের শালবাগানে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম গ্রুপের কর্মীরা ধারালো অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। হামলায় ও ভাংচুর চালানো হয় বাড়ী-ঘরে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছলে উভয় গ্রুপের সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। পুলিশ দুই নারীসহ গুরতর আহত ৬ জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।

খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার নয়ন ময় ত্রিপুরা ত্রিপুরা জানান, গুরতর আহত ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। এরা হচ্ছে- শাল বাগানের নুরুল ইসলামের ছেলে বিল্লাল হোসেন(৩৫), জিন্নাত আলীর ছেলে খায়রুল ইসলাম(১৪), ফরিদ মিয়ার ছেলে রণি(১৮) ও আব্দুল গণির ছেলে মোসলেম উদ্দিনকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে, ইসলাম উদ্দিনের স্ত্রী জোসনা বেগম(৩৫) ও মুসলিম উদ্দিনের স্ত্রী সাফিয়া বেগম।

জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলমের ছোট ভাই পৌরসভার মেয়র মো. রফিকুল আলম এ ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি কুজেুন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপিকে দায়ী করে বলেছেন, তার উসকানিতে আমাদের নীরহ নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। পুলিশ সন্ত্রাসীদের না ধরে আমাদের দুই কর্মীকে আটক করেছে।

অপরদিকে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা অনুসারী জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরার অভিযোগ- মেয়র রফিকুল আলমের সন্ত্রাসীরা সন্ধ্যা থেকে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর ধারালো অস্ত্রেশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে দুই নারীসহ তিনজন আহত হয়। তিনি পুলিশের ছত্রছায়ায় খাগড়াছড়িতে মেয়র বাহিনীর সন্ত্রাসীরা একের পর এক আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন।

খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ আব্দুল হান্নান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের সাঁড়াশি অভিযান চলছে। এ সংঘর্ষের জেরে শহরে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

তবে খাগড়াছড়ির পুলিশ সুপার মো. মজিদ আলী বলেছেন, ঘটনার সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে।