Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

ক্যাম্প ছেড়ে যাওয়ার চেষ্টা প্রায় ৪৬ হাজার রোহিঙ্গার

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

ক্যাম্প ছেড়ে অন্যত্র চলে যাওয়ার চেষ্টা করেছে ৪৫ হাজার ৮০৯জন রোহিঙ্গা নাগরিক। জেলা পুলিশের উদ্যোগে পরিচালিত ১১টি চেকপোস্টের মাধ্যমে তাদের আটকানো হয়েছে। এছাড়া দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ৭১২জন রোহিঙ্গাকে আটক করে কক্সবাজারের কুতুপালং ক্যাম্পে ফেরত পাঠানো হয়েছে। বিভিন্ন অভিযোগে ৫৫২জনকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি দেয়া হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মো. আবদুল মান্নানের পাঠানো এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গেল বছরের ২৫ আগস্ট থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ, বিজিবি, কোস্টগার্ড, আনসারের সমন্বয়ে আইনশৃঙ্খলা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশ, বিজিবি, র‌্যাব ও আনসারের সহায়তায় নিয়মিত চারটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হচ্ছে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তায় এপিবিএনসহ এক হাজার পুলিশ সদস্য ও ২২০জন ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনীর এক হাজার সাতশ’জন সদস্য পর্যায়ক্রমে ত্রাণ বিতরণ কাজে সহায়তা করছে।

কক্সবাজার ও বান্দরবান জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত আট লাখ ৭৬ হাজার ৫৫৪জন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা বাংলাদেশে বসবাস করেছে। এর মধ্যে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট থেকে এ বছরের ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত ছয় লাখ ৭৩ হাজার ১২৩জন অনুপ্রবেশ করেছে। এখনো বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের অনুপ্রবেশ অব্যাহত রয়েছে।

বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিবেদন সূত্রে জানা গেছে, জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত এক হাজার ৩৬২ জনের ডেলিভারি হয়েছে। মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী এতিম/অনাথ শিশুদের সমাজসেবা অধিদপ্তর শনাক্ত করার কাজ করছে। তাদের আলাদা আশ্রয় কেন্দ্রে রাখতে জেলা প্রশাসন ও সমাজসেবা অধিদপ্তর যৌথভাবে কাজ করছে। এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৩৭৩ শিশুকে এতিম/অনাথ হিসেবে নিবন্ধন করেছে সমাজসেবা অধিদপ্তর। উখিয়া ও টেকনাফে স্থাপিত ৪১টি মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে ইপিআই প্রোগ্রামের আওতায় পোলিও টিকা, এমআর ভ্যাকসিন দেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত তিন হাজার ৫৭৯জনকে সন্দেহজনক ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়েছে বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৩০জন সন্দেহজনক ডিপথেরিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। এদের সবার বয়স ২০ বছরের নিচে।

কক্সবাজার জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা নাগরিকদের মানবিক সহায়তা দেয়ার জন্য কক্সবাজারে ইউনিসেফ, আইওএম, ব্র্যাক, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র, শেড, অক্সফাম, রেডক্রিসেন্টসহ ৯২টি এনজিও কাজ করছে। এনজিওগুলো ১৯৫টি অনুমোদিত প্রকল্প পরিচালনা করছে। রোহিঙ্গাদের সহায়তায় ৪৬৫ কোটি ৮০ লাখ ১৫ হাজার ৪২৯ টাকার প্রকল্প এরই মধ্যে অনুমোদন করেছে এনজিও বিষয়ক ব্যুরো।

বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তরের জন্য এক লাখ বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের তালিকা চূড়ান্ত করার কার্যক্রম চলছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন