কেনার আগে বুঝে নিন মাংস ক্যান্সার আক্রান্ত পশুর কি না

লাইফস্টাইল ডেস্ক:

খাবারে ভেজাল থাকা একটি স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। বিশেষ করে নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারগুলোতে ভেজাল থাকছে। নানান কর্মব্যস্ততার কারণে কোন খাবার কীভাবে নিয়ম মেনে খেতে হবে সেটা আর হয়ে উঠে না।

খাদ্যে ভেজালের উপস্থিতি বা বিষক্রিয়া আমাদের স্বাভাবিক জীবনকে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে আমাদের নিজেদেরকেই একটু সচেতন থাকতে হবে।

যেমন- নিত্য প্রয়োজনীয় খাবারের তালিকায় অন্যতম হলো মাংস। কেনার সময় একটু সচেতন থাকলেই বোঝা যাবে যে, মাংসে ক্যানসার আছে কি না কিংবা তা ক্যানসার আক্রান্ত পশু বা পাখির কি না।

ভারতের ক্যানসার বিশেষজ্ঞ সুকুমার সরকারের মতে, ‘এমনিতেই চার পাশের দূষণ ও নানা রাসায়নিকের প্রভাবে আজকাল ক্যানসার আক্রান্তের সংখ্যা দিনে দিনে বাড়ছে। তার উপর প্রক্রিয়াজাত মাছ, মাংস থেকেও তা ছড়ায়। এখন কেনার সময় যদি অন্তত কিছু সচেতনতা অবলম্বন করা যায়, তা হলে রোগ-ব্যাধি থেকে কিছুটা অন্তত দূরে থাকা যায়।’

কিন্তু কেনার সময় কী ধরনের সাবধানতা নিতে হবে-তা কিছু সহজ পদ্ধতিতেই দেখে নিতে পারি-

১. মাংসের কোনো অংশে কালচে কোনো দাগ থাকলে সচেতন হোন। এ ছাড়া অন্যান্য অসুখ ঠেকাতে সব ধরনের মাংসই বাড়িতে এনে ধোওয়ার পর কিছুক্ষণ গরম জলে ভিজিয়ে রাখুন। এতে মাংস নরমও হবে, তা ছাড়া কোনো ছোটখাটো সংক্রমণ থাকলে সেটাও এড়ানো যাবে। কিন্তু ক্যানসারের মতো বড় অসুখ ঠেকাতে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে কোনো লাভ নেই। সে ক্ষেত্রে মাংসটি বাতিল করাই একমাত্র উপায়।

২. মাংস কেনার আগে ভালোমতো উল্টেপাল্টে দেখুন। বাড়তি বা অস্বাভাবিক মাংসপিণ্ডের অস্তিত্ব থাকলে এই মাংসে ক্যানসার জাতীয় অসুখের বীজ থাকার সম্ভাবনা খুবই বেশি। তাই এড়িয়ে চলুন সেটিও।

৩. মাংস কেনার সময় প্রথমেই লক্ষ করুন তার রং। লালচে বা গোলাপি মাংস হলে ধরে নিতে হবে তা টাটকা। কিন্তু ধূসর মাংস মানেই তা বাসি। তবে লালচে বা গোলাপি মাংসের গায়ে হঠাৎ কোনো কোনো জায়গায় কিছুটা অংশ জুড়ে ধূসর বা ফ্যাকাশে রঙের কোনো দাগ আছে কি না লক্ষ করুন। তেমন দাগ থাকলে আগেই বাদ দিন সেই মাংস। সাধারণত ক্যানসার আক্রান্ত পশুর মাংসে এই রকম দাগ দেখা যায়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *