কুতুবদিয়া হাসপাতালে অক্সিজেন নেই, বিপাকে মুমূর্ষু রোগীরা

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি
কক্সবাজারের কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অক্সিজেন নেই ৭ দিন ধরে। প্রচন্ড তাপদাহে নানা ব্যধির মওসুমে হাসপাতালে আগত রোগীরা জরুরী অক্সিজেন সুবিধা পাচ্ছে না। শিশুদের নিউমোনিয়া, হার্ট স্ট্রোক সহ হৃদরোগের ঝুঁকি নিয়ে আসা রোগীদের অধিকাংশের জরুরী অক্সিজেন প্রয়োজন হয়। কিন্তু বিপদের সময় অক্সিজেন থাকে না। গত মঙ্গলাবার (২৩ মে) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পানিতে ডোবা স্থানীয় বড়ঘোপ মিয়ার পাড়ার আ. শুক্কুরের শিশু কন্যা তাসকিয়া (৮)কে জরুরী বিভাগে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মচারিরা প্রায় আধা ঘন্টা চেষ্টা করে শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস সচল করলেও অক্সিজেন দিতে পারেনি। বেসরকারি সংস্থা গনস্বাস্থ্য কেন্দ্রে অক্সিজেন দেয়ার জন্য রেফার করা হয়। অবশ্য ভাগ্যের জোরে শিশুটির প্রাণ বাঁচে এ যাত্রায়।

কিছুদিন আগেও বড়ঘোপ বাজারের বিশিষ্ট ব্যবসায়ি হাজী মো. ইসলাম হৃদ রোগের সমস্যা নিয়ে হাসপতালে এলে ওয়ার্ডে অক্সিজেন নেই বলে জানানো হয়। রোগীর স্বজনেরা শেষ পর্যন্ত জানতে পারে হাসপাতালের ষ্টোরে অক্সিজেন সিলিন্ডার  রয়েছে। পরে ষ্টোর কিপারকে ডেকে এনে ওই রোগীকে অক্সিজেন দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম পাঠানো হয়। অভিযোগ রয়েছে অনেক সময় থাকলেও ওয়ার্ডে কতিপয় কর্মচারি জরুরী প্রয়োজনে “অক্সিজেন” নেই বলেও জানান তারা। আবার কখনো ভিআইপি কোন রোগী আসলে স্বল্প প্রয়োজনেও আিক্সজেন ব্যবহার হয় বলে একজন দায়িত্বশীল জানান।

হাসপাতালের ষ্টোর কিপার রুহুল আমিন জানান, ষ্টোরে অক্সিজেন সিলিন্ডার না থাকায় গত ১৭ মে জেলা সিভিল সার্জন অফিসে যোগাযোগ করেছিলেন। পাওয়া জায়নি তখন। আরো ৩/৪ দিন সময় লাগতে পারে। এ ছাড়া ষ্টোর থেকে ওয়ার্ডে অক্সিজেন সিলিন্ডার নেয়ার পর সিলিন্ডার খালি হলেও ষ্টোরে আবার সময় মত জমা না দেয়ার কথাও জানান তিনি।

হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মোহাম্মদ জায়নুল আবেদীন বলেন, প্রয়োজনের তুলনায় অক্সিজেন সরবরাহ অনেক কম। প্রতি মাসে মাত্র ৩/৪ টি ছোট সাইজের অক্সিজেন সিলিন্ডার হাসপাতালের জন্য বরাদ্ধ দেয়া হয়। যা নিয়মিত ব্যবহার হলে এক সপ্তাতেই শেষ হয়ে যায়। দ্বীপাঞ্চল থেকে জেলা সিভিল সার্জন অফিস থেকে ঝুঁকি নিয়ে সিলিন্ডার বহন, সময় মতো বিল না পাওয়া, সময়মতো সরবারহ না থাকা সহ ভোগান্তি অনেক। যে কারণে তিনি প্রতিমাসে অক্সিজেন বরাদ্ধের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়ে আসছেন বলে জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন