কুতুবদিয়া ধুরুং ভূমি অফিস বিধ্বস্ত

D copy

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়া ধুরুং ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন বিধ্বস্ত হয়ে টিনগুলো এখন চোরের দখলে চলে যাচ্ছে। সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নজর নেই। দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, পরিত্যক্ত ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি দীর্ঘ এক দশক ধরে বন্ধ থাকায় অযত্নে-অবহেলায় একটি ভবন খেয়েছে স্থানীয় বখাটে আর চোরের দল। মূল অফিস ভবনটি অরক্ষিত থাকায় এর দরজা জানালাসহ রড খুলে নিয়েছে অনেক আগেই। কিছু দিন আগে ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু‘র কবলে পড়ে মূল ভবনের অর্ধেকটা বিধ্বস্ত হয়ে ভেঙে পড়ে। ভেঙে পড়া ভবনের টিন, কাঠ সংরক্ষণে উপজেলা ভূমি অফিস কোন ব্যবস্থা না নেয়ায় পেশাদার চোরের দল সেগুলোকে গনিমতের মাল হিসেবে নিয়ে নিচ্ছে বলে পার্শ্ববর্তী বাসিন্দারা জানান।

উপজেলার উত্তর জোন উত্তর ধুরুং ও দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়নের বাসিন্দাদের সুবিধার্থে ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি ‘৯১ এর প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড়ে তলীয়ে যাওয়ায় কয়েক বছর সেটি বন্ধ থাকে। পরে জনস্বার্থে সেটি চালু করলেও ২ বছরের মাথায় অজ্ঞাত কারণে আবার বন্ধ হয়ে যায়। দীর্ঘ এক দশক যাবৎ এটি বন্ধ থাকায় এক দিকে দু‘ইউনিয়ন বাসীর জমী-জমার খতিয়ান, খাজনাসহ যাবতীয় কাজের ভোগান্তি যেমন চরমে,অন্য দিকে পরিত্যক্ত ভবন সহ বিশাল মাঠে বাজারের সব আর্বজনা ফেলায় ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে।রাতের বেলায় বখাটে, জুয়াড়িদের আড্ডায় ভরে যায়। ধুরুং বাজারে বে-ওয়ারিশ কুকুর মরলেও ওই মাঠে ফেলা হয়। ময়লা-আবর্জনা দূর্গন্ধে পথচারি চলাচলেও মারাত্বক ভোগান্তি বেড়েছে।

পার্শ্ববর্তী ঔষধ ব্যবসায়ি মিলকী হাসান, দক্ষিণ ধুরুং ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক ডা. বাসু দেব চক্রবর্তী জানান পরিত্যক্ত ভূমি অফিসটির দরজা-জানালা উধাও হয়ে গেছে। সম্প্রতি ঘুর্ণিঝড়ে ভবনের সামনের অংশ ভেঙে পড়ায় টিনগুলোও নিয়ে যাচ্ছে অসাধু ব্যক্তিরা। কোন তদারকি না থাকায় বেহাত হয়ে যাচ্ছে সরকারি সম্পদ। এটি দ্রুত সংস্কার করে অফিসটি পূণ:চালুর দাবি করেন তারা।

ধুরুংবাজার বণিক কল্যাণ সমিতির সাবেক সভাপতি এসএম মনজুর আলম বলেন, ইউনিয়ন ভূমি অফিসটি সম্পূর্ণ অরক্ষিত হয়ে আছে কয়েক বছর ধরে। বাউন্ডারি না থাকায় ময়লা-আর্বজনা আর মলমূত্রে সয়লাব পুরো মাঠ জুড়ে। আশ-পাশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে দূর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। উর্ধতন কর্তৃপক্ষ তড়িৎ ব্যবস্থা নেবেন এ আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

উপজেলা সার্ভেয়ার (ভারপ্রাপ্ত কানুনগো) সাজিদ মাহমুদ বলেন, ধুরুং পরিত্যক্ত ভূমি অফিসটি পুরনো হওয়ায় এটি মেরামত না করে ভেঙে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের অনুমতি না পেলে ভেঙে ফেলারও সুযোগ নেই বলেও জানান। এ ছাড়া বিষয়টি উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তাকে অবহিত করা হলে তিনি ঈদের পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন