কুতুবদিয়া চ্যানেলে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে লবণবোঝাই ট্রলার ডুবি, এখনও উদ্ধার হয়নি

 

পেকুয়া প্রতিনিধি:

বঙ্গোপসাগরে কুতুবদিয়া চ্যানেলে ১১শ মণ লবণ নিয়ে একটি ট্রলার মাঝসাগরে ডুবে গেছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জানাযায়, গতকাল ২০ জুলাই সকালে বঙ্গোপসাগরের বাঁশখালীর অদূরে গন্ডাপাড়া নতুনচর পয়েন্টে এ বোট ডুবির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। মাঝিমাল্লাদের নিরাপদে উদ্ধার করা গেলেও ডুবে যাওয়া ট্রলারটি এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার করা যায়নি।

জানাযায়, পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের শরতঘোনা এলাকার জহির উদ্দিনের মালিকনাধীন ‘এমবি রেনোয়ারা’ নামের একটি ট্রলার গত ৩ দিন আগে মগনামা ঘাট থেকে লবণ বোঝাই করে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। কিন্তু ঝড়বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ট্রলারটি বাঁশখালী উপজেলার ছনুয়া ইউনিয়নের গন্ডামারা জেটিঘাটে অবস্থান নেয়। গতকাল সকাল ৭টার দিকে ঝড় থেমে গেছে মনে করে মাঝি ট্রলারটি নিয়ে আবারো চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেয়। এতে প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে ট্রলারটি সাগরে ডুবে যায়। ট্রলারের মাঝি হেলাল উদ্দিন ও নায়া জসিম উদ্দিনের সাথে ফোনে কথা হয়।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে তারা জানান, ছনুয়া জেটিঘাট থেকে সকালে রওয়ানা দিয়ে সাগরে ৫ কিলোমিটার যাওয়ার পরই তারা প্রচণ্ড ঝড়ের কবলে পড়ে। এসময় তারা ট্রলারটি ঘুরিয়ে পুনরায় কুলের দিকে চলে আসার চেষ্টা করলে প্রচণ্ড বাতাস ও ঝড়ের ঝাপটা এসে তাদের ট্রলারটিকে কাত করে ফেলে। একপর্যায়ে ট্রলারটি ডুবতে শুরু করলে তারা মাঝিমাল্লা ৫ জনই লাইফ জ্যাকেট পড়ে সিঁড়ি নিয়ে সাগরে ভাসতে থাকে। এসময় তারা বিষয়টি মোবাইলে মালিককে জানালে মালিক লোকজন সহ ৪/৫ টি ট্রলার নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদেরকে উদ্ধার করে। তারা দীর্ঘ ২ ঘন্টা সাগরে ভেসে ছিল বলে জানান ট্রলারের নায়া জসিম।

এ বিষয়ে দুর্ঘটনা কবলিত ‘এমবি রেনোয়ারা’র মালিক জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমি এখনো মাঝসাগরে দুর্ঘটনার স্থানে আছি। আমার ডুবে যাওয়া ট্রলারটি নল দিয়ে রেখেছি যাতে ভেসে না যায়। মাঝিমাল্লাদের উদ্ধার করে তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। এঘটনায় তার প্রায় ১৫ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলেও জানান তিনি।

তিনি আরো জানান, ট্রলারটি উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা চলছে। এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ ওয়াসিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝিমাল্লাদের উদ্ধার করা হয়েছে কিন্তু এখনো ট্রলারটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে ডুবে যাওয়া ট্রলারটি ট্রেস দিয়ে রাখা হয়েছে। তিনি ট্রলারটি উদ্ধার করার জন্য নৌবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করেন। এ বিষয়ে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহবুবউল করিমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান মগনামা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও নৌবাহিনীর লোকজনকে ট্রলারটি উদ্ধারের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন