কুতুবদিয়ায় পাড়ি জমাচ্ছে রোহিঙ্গা: ভিন্ন পথে গরু

 

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়াতেও পার হচ্ছে নির্যাতিত রোহিঙ্গরা। আর ভিন্ন পথে বেপারীদের হাত ধরে আসছে গরুও। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মায়ানমারে নির্যাতিত পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের একটি অংশ খণ্ড খণ্ড হয়ে পাড়ি জমাচ্ছে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ায়। দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নে হযরত মালেক শাহ‘র মাজার কুতুব শরীফ দরবারের নাম করে একাধিক রোহিঙ্গা নারীর গ্রুপ ঘোরা-ফেরা করছে বলে স্থানীয়রা জানান। এদের কেউ বলছেন তারা পালিয়ে এসেছেন বার্মা থেকে। উপজেলা সদর বড়ঘোপ বাজারে শিশু সহ একাধিক নারীকে আর্থিক সাহায্য খুঁজতে দেখা গেছে।

সোমবার (১১ সেপ্টেম্বর) ধুরুং বাজারে অপরিচিত দু‘যুবতী সহ ৩ নারীকে  দেখা গেছে মায়ের হার্টের চিকিৎসা করাতে আর্থিক সাহায্য নিতে। সাথে রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থাপত্র দেখতে চাইলে জবাব না দিয়েই দ্রুত চলে যায় সেখান থেকে। বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন তারা স্থানীয় নয়। উখিয়া-টেকনাফে পরিস্থিতি ভাল না থাকায় বিভিন্ন অজুহাত করে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে তারা দ্বীপে আসতে শুরু করেছে।

অপর দিকে গত কয়েক দিনে রোহিঙ্গাদের গরু সস্তায় মেলায় বিভিন্ন এলাকার মতো কুতুবদিয়ার কয়েকটি গরু ব্যবসায়ী “রোহিঙ্গা গরু” এর আমদানী শুরু করেছেন। গত শুক্রবার রাতে আলী আকবর ডেইল জেটিঘাট এলাকা দিয়ে কয়েকটি টেম্পো বোটে প্রায় ৩০টি রোহিঙ্গা গরু এসেছে বলে প্রত্যক্ষদর্শী একব্যক্তি জানিয়েছেন।

অর্ধেক দামে এ সব গরু কিনে দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছ এখানে। সোমবারও কৈয়ারবিল পরান সিকদার পাড়ায় রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সাইক্লোন শেল্টারের নিচে অন্তত: ১০টি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে কেনা গরু বাধা ছিল। এখান থেকে বিক্রি করা হচ্ছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

জীপ চালক আব্দু রাজ্জাক বলেন, কয়েকজন রোহিঙ্গা নারীকে আর্থিক সাহায্য নিতে দেখা গেছে। এরা মাজারে এসেছে বলে তিনি শুনেছেন বলে জানান। এছাড়া বেশ কিছু গরুও দ্বীপে পার হওয়ার কথাও জানান তিনি। দক্ষিনাঞ্চলে রোহিঙ্গা সংকটের মুখে দ্বীপ উপজেলায় ধীরে ধীরে রোহিঙ্গা রাগরিকদের আগমনে ঝুঁকির সম্ভাবনা বা সতর্কতার প্রয়োজন রয়েছে কিনা এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ দিদারুল ফেরদাউস এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ওসি (তদন্ত) রোমেল বড়ুয়া মোবাইলে জানান, তারা দু‘জনেই প্রধান মন্ত্রীর সফরের ডিউটিতে এসেছেন। তবে বিষয়টি ওসিকে জানানোর পরামর্শ দেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন