কুতুবদিয়ায় পানিতে ডুবে এক মাসে ১০ শিশুর মৃত্যু
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় পানি ডুবির ঘটনা বেড়েই চলেছে। গত এক মাসে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে পানিতে ডুবে অন্তত ১০ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। আর এতে আতংকিত হয়ে পড়ছেন অভিভাবক মহল।
হাসপাতাল ও বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, গত মাসের শুরুতেই ৪ এপ্রিল উত্তর ধুরুং ইউনিয়নে মামুন নামের ৬ বছরের এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়। ৬ এপ্রিল ধক্ষিণ ধুরুং গ্রামে ৪ বছরের শিশু সুমাইয়া পানিতে ডুবে মারা যায়।৯ এপ্রিল উত্তর ধুরুং এলাকার ২ বছরের একটি শিশু পুকুরে পড়ে মারা যায়। ১৩ এপ্রিল বড়ঘোপ আজম কলোনীর তানজিল আক্তার (১০ ও দক্ষিণ ধুরুং এর ৩ বছরের নাঈম নামের এক
শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। ১৫ এপ্রিল লেমশীখালী ইউনিয়নে মো. এহসান নামের ৪ বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয় পুকুরে ডুবে। ১৭ এপ্রিল দক্ষিণ ধুরুং গ্রামের হীরামণি(২) নামের এক শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়। ২৪ এপ্রিল আলী আকবর ডেইলে আবিদা নামের সাড়ে ৩ বছরের এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়।এর পর দিন ২৫ এপ্রিল কৈয়ারবিল গ্রামে তাসকীন আহমেদ নামের দেড় বছরের এক শিশু পানি ডুবিতে মৃত্যু হয়। ২৯ এপ্রিল দক্ষিণ ধুরুং এ বাবু নামের দেড় বছরের এক শিশু পুকুরে ডুবে মারা যায়। সর্বশেষ ৪ মে বড়ঘোপ ঘোনার মোড় গ্রামের হাবিব উল্লাহ নামের ২ বছরের এক শিশু পানি ডুবির ঘটনায় প্রাণে বেচেঁ গিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
পানি ডুবিতে প্রতি ৩ দিনে গড়ে একটি শিশুর মৃত্যুর খবরে আতঙ্কিত এখন দ্বীপের অভিভাবক মহল। কোন ভাবেই রোধ হচ্ছেনা শিশুদের পানি ডুবির ঘটনা। শিশুদের মা-বাবার সচেতনার অভাবেই ও অবহেলার দুরুণ শিশুরা অগোচরেই পুকুরে পড়ে যাচ্ছে। সময় মতো শিশুদের খোঁজ না রাখায় এমনটি হচ্ছে বলেও অনেকে মনে করছেন।
এ ছাড়া শিশুদের অভিভাবকদের মাঝে শিশুদের নিরাপত্তার ব্যাপারে জনসচেতনামূলক প্রচারণা নেই, নেই কোন সভা-সমাবেশ। একটি এনজিও সংস্থার কার্যক্রমে বছরে কয়েকটি মা সমাবেশ হয়ে থাকে। তবে এতে গর্ভবতী ও নবজাতকের যত্নের বিষয় থাকলেও এতে শিশুদের পানি ডুবির ঘটনা রোধে সুনির্দিষ্ট কোন বক্তব্য থাকেনা।এমন পরিস্থিতির মাঝে গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলে মায়েদের মাঝে সচেতনা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া না হলে পানি ডুবির ঘটনায় শিশু মৃত্যুর হার আরও বেড়ে যাবে বলে অভিজ্ঞমহল মনে করছেন।