কুতুবদিয়ায় ধ্বসে পড়ার ঝুঁকিতে দেড় ডজন পরিত্যক্ত ভবন

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় অন্তত দেড় ডজন পরিত্যক্ত ভবন ধ্বসে পড়ার অপেক্ষায় প্রহর গুনছে। অতি বৃষ্টির ফলে এ ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। জনসমাগম স্থলে দীর্ঘ দিন যাবত পরিত্যক্ত ভবনগুলো নিলাম দিয়ে ভেঙে না ফেলায় ধ্বসে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করছেন অনেকে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, উপজেলা নির্বাহী কার্যালয়ের পিছনে ইউটিডিসি ভবন ২টি, উপজেলা স্টাফ কোর্য়াটার ৪টি, ৫টি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের অফিস সহ ২টি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, ২টি হাসপাতালের স্টাফ কোর্য়াটার ৪টি, টেলিগ্রাফ অফিস, কৈয়ারবিলে পুরনো কমিউনিটি সেন্টার, ধুরুং স্টেডিয়ামের পাশে কমিউনিটি সেন্টার, সিকদার বাড়িতে সাবেক গুদাম ঘর, ধূরুং ইউনিয়ন ভূমি অফিস, শান্তিবাজার, আলী আকবর ডেইল প্রভৃতি স্থানে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পরিত্যক্ত ভবনগুলো মারাত্বক ঝুঁকির মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে।

জনসমাগম স্থলে এ সব পরিত্যক্ত ভবনের অধিকাংশই অর্ধশতাধিক বছর মেয়াদ পার হয়েছে। যে কোন সময় ধ্বসে পড়ে ব্যাপক প্রাণহানির আশঙ্কা করেছেন এলাকাবাসি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের পেছনে পরিত্যক্ত পুরাতন আদালত ভবনটি ধ্বসে পড়েছে। তবে সেটি অপসারণে কোন উদ্যোগ নিতে পারেনি সংশ্লিষ্ট কৃর্তপক্ষ।পাশেই চলমান অফিস জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনটি যে কোন মূহুর্তে ধ্বসে পড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন ওই অফিসের কর্মচারিরা।

অপর দিকে ভবনগুলো পরিত্যক্ত থাকায় সেখানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের পরামর্শ কেন্দ্র ও মদ জুয়ার আসরে পরিণত হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের একাধিক পরিত্যক্ত স্টাফ কোয়ার্টার, ধূরুং পরিত্যক্ত কমিউনিটি সেন্টারে প্রতিনিয়ত জুয়া ও মদের আসর জমে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।

সুযোগ বুঝে কোনটির রড খুলে নিচ্ছে ছিঁচকে চোরেরা। ভবনের রড, দরজা-জানালা, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম কিছুই নেই এখন। ভবন গুলো ভেঙে ফেলার উদ্যোগ না নেয়ায় এক দিকে যেমন দূর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে তেমনি সরকারি জায়গায় বছরের পর বছর ভবন পরিত্যক্ত থাকায় পতিত পড়ে আছে মূল্যবান জমি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. মো. আব্দুল মাবুদ বলেন, পরিত্যক্ত ভবনের বিষয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে অবহিত করা হয়েছে। দূর্ঘটনায় প্রাণহানীর আগেই  এ সব পরিত্যক্ত ভবন নিলামে দিয়ে ভেঙে ফেলার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেন তিনি। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যক্ত ভবনগুলো ভেঙে ফেলতে অনুমতি চেয়ে বেশ কয়েকবার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। এ সব চিঠি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয় পর্যন্ত গিয়েছে কিনা বা কোথায় তা আটকে আছে তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে সমন্বয় পরিষদের সভায় একাধিকবার আলোচনা হয়েছে। লিখিত ভাবে পাঠানো চিঠিগুলোর উত্তর বা  কোন রেজাল্ট মেলেনি এখনো। তবে নতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুজন চৌধুরী এ ব্যাপারে ফের উদ্যোগ নিবেন বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন