কুতুবদিয়ায় দেড়‘শ কিলোমিটার সড়কের বেহাল দশা

Road copy

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ঘুর্ণিঝড় রোয়ানু‘র প্রভাবে আভ্যন্তরিন দেড়‘শ কিলোমিটার কাঁচা পাকা সড়ক বেহালদশায় পড়েছে। উপজেলার প্রধান সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের আজম রোড সহ এলজিইডি‘র রাস্তাগুলো এখন ক্ষত বিক্ষত। যে কারণে প্রত্যন্ত অঞ্চলে অধিকাংশ রাস্তায় যানবাহন চলা চল বন্ধ হয়ে গেছে। ভোগান্তি বেড়েছে দূর্যোগে আক্রান্ত শত শত মানুষের।

সরকারি তথ্য অনুযায়ি উপজেলার প্রধান সড়ক আজম রোডের উত্তরাংশে ব্যাপক ভাঙ্গন হয়েছে পানির স্রোতে। আকবরবলী ঘাট পর্যন্ত যাত্রীবাহি জীপ যাতায়াত করতে পারছেনা বলে গাড়ী মালিক সমিতি জানিয়েছে। উপজেলায় ২০ কিলোমিটার পাকা সড়ক সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রন্ত হয়ে গেছে। আংশিক ভাঙনের শিকার হয়েছে আরো ৫০ কিলোমিটার সড়ক। এ ছাড়া কাঁচা রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে প্রায় ৪০ কিলোমিটর। আর আংশিক ভাবে খানা-খন্দকে ভরপুর হয়েচে প্রায় ৫০ কিলোমিটার। সব মিলিয়ে দেড়‘শ কিলোমিটার রাস্তা বেহাল দশায় পড়েছে রোয়ানু‘র আঘাতে।

ধুরুং বাজার টু সতরুদ্দীন মিরাখালী রোডের ব্যাপক ভাঙনের কবলে সড়কের অধিকাংশ জায়গা। যাত্রীবাহি টেম্পো খানিকটা চললেও দূর্ঘটনায় পড়ছে প্রতিনিয়ত। উত্তর ধুরুং ছাড়াও দক্ষিণে আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নে শান্তিবাজার থেকে তাবালের চর যাতায়াতে কাচা রাস্তা বিলীন হয়ে গেছে। কয়েক হাজার মানুষ নিত্য দিনের রোগী পরিবহন সহ পায়ে চলা বন্ধ হয়ে গেছে। ওই এলাকায় ভোগান্তর সীমা অসহনীয়।

অপরদিকে শুষ্ক মওসুমে বেড়িবাঁধ হয়ে বেশ কিছু যানবাহন চলাচল করলেও এখন তা সম্পূর্ণ অচল হয়ে গেছে। পুরো ২৬ কিলোমিটার আংশিক ১৪ কি.মিসহ ৪০ কিলোমিটার বাঁধ না থাকার সমান হয়েছে। সংকুচিত হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ মহসীন জানান, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) আওতাধীন সড়কের মধ্যে অন্তত: ১২ টি ছোট বড় রাস্তা ক্ষতিগ্রস্তের শিকার হয়েছে। এ রাস্তাগুলো দ্রুত সংস্কার করা গেলে বৃষ্টি ও ভারী যানবাহন চলাচলের দরুণ ক্ষতিগ্রস্তের পরিধি আরো বেড়ে যাবে বলে তিনি জানান।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন