কুতুবদিয়ায় ডাকাতের হামলায় গুলিবিদ্ধ ২
কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ডাকাতের হামলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছে দু‘ভাই। মরাত্বক রক্তক্ষরণ অবস্থায় গুলিবিদ্ধ দু‘ভাই আলাউদ্দিন ও মীর কাশেমকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
গত বুধবার (১৫ জুন) রাত সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার লেমশীখালী পেয়ারাকাটা গ্রামে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে সতরুদ্দীন পেয়ারাকাটা ঘাট এলাকায় স্থানীয় ডাকাত দিদার দলবল নিয়ে লেমশীখালী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো.ইছহাক কুতুবীকে তালাশ করছিল।এ সময় কড়লা পাড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পুত্র মিজানকে তারা মারধর করতে থাকলে মিজানের অপর দু‘ভাই আলাউদ্দিন, মীর কাশেম এগিয়ে গেলে ডাকাতেরা এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে।
গুলিতে আলাউদ্দিন (১৯) ও মীর কাশেম (৩৩) কে মারাত্বক আহত অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দু‘জনকে রেফার করেন।
হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ আলাউদ্দিন জানান, ডাকাত দিদার ৮/১০ জন সংগী সহ তার ভাই মেম্বারকে অপহরণ করার লক্ষ্যে তাদের উপর হামলা চালায় বন্দুক দিয়ে। এ সময় তারা ডাকাতদের কাছ থেকে একটি অস্ত্র উদ্ধার করেন বলেও জানান তিনি।
ইউপি সদস্য ইছহাক বলেন, ডাকাত দিদার ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের রাত্রীবেলায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মদ,জুয়া না খেলার জন্য বলা হলে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বুধবার দুপুরে তার সাথে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে রাত ১০ টার দিকে পেয়ারাকাটা ঘাটে অফিসে তাকে অপহরণ করার উদ্দ্যেশে যায়। আমাকে না পেয়ে তার দু‘ভাইয়ের উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষন করে দস্যুরা। এ ব্যাপারে ডাকাত দিদার ও ৮/৯ জনের নামসহ অজ্ঞাত আরো ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানান তিনি।
থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অং সা থোয়াই বলেন,রাতেই তিনি সহ পুলিশ ঘটনা স্থলে যান। এ সময় ডাকাতের কাছ থেকে স্থানীয়দের কেড়ে রাখা একটি দেশীয় লম্বা বন্দুক উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন । দোষীদের আটকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি জানান।