Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কাপ্তাই হ্রদে ভবন ধ্বসে নিহত অন্তত ৩, অন্ধকারেই চলছে উদ্ধার তৎপরতা

356447836-copy

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রাঙামাটি শহরের সরকারি মহিলা কলেজ সড়কে একটি দোতলা ভবন কাপ্তাই হ্রদে ধসে পড়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। এতে শিশুসহ অন্ত:ত ৩ জন নিহত হবার খবর পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন- পিংকি (১৩), জাহিদ (৩৪) শাহিদা (২৫)। এতে ওই ভবনের অন্তত চারটি পরিবারের ১১ জন সদস্য আটকা পড়েছে বলেও জানা যায়। এখনো ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও রেড ক্রিসেন্টহ স্থানীয় লোকজন উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সূত্র জানায়, ফায়ার সার্ভিস স্থানীয়দের সহযোগিতায় দুটি পরিবারের দুই নারী, দুই পুরুষ ও এক কিশোরীকে বের করে এনেছে। আরো অন্তত ছয়জন ওই ভবনে আটকে আছে বলে দাবি করেছে তাদের স্বজনরা। উদ্ধার হওয়াদের মধ্যে অন্তত তিন জনকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে মহিলা কলেজ সড়কের হ্রদের পাড়ে অবস্থিত নঈমউদ্দিন টিটু নামের এক ঠিকাদারের মালিকানাধীন দোতলা ভবনটি দেবে যেতে শুরু করে। মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ভবনটির নিচতলা পুরোই দেবে যায়। এ সময় ভবনের দুটি ফ্লোরে অন্তত চারটি পরিবার আটকা পড়ে। পাশের একটি নারকেলগাছের কারণে ভবনের দ্বিতীয় তলা তলিয়ে যেতে বেশ সময় নিচ্ছিল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আটকে পড়াদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ভবনের নিচের তলার কোন মানুষকে এখনো পর্যন্ত উদ্ধাকরা সম্ভব হয়নি। অন্ধকার হওয়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে বলেও জানা যায়।

এদিকে ঘটনা খবর পেয়ে ঘটনা স্থলে ছুটে যায় রাঙামাটি জেলা প্রশাসক মো. মানজেরুল হক ও জোন কমান্ডার মেজর সামাদসহ সরকারি বেসরকারি কর্মকর্তারা।

রাঙামাটি ফায়ার সার্ভিস গোলাম মোস্তফা জানান, যতক্ষণ পর্যন্ত ভবনের সব মানুষকে উদ্ধার করা না হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত উদ্ধার কাজ অব্যবহত থাকবে। পানিতে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরাতা চালিয়ে যাচ্ছে।

এ খবর শহরে ছড়িয়ে পড়লে সাধারণ মানুষের ঢল নামে ঘটনাস্থলে।  আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও রেড ক্রিসানসহ স্থানীয়রা।

 

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন