কাপ্তাই ফলদ বৃক্ষমেলা জনশূন্য, বিক্রেতাদের মাথায় হাত
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কাপ্তাইয়ে তিন দিনব্যাপী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে ‘ফলদ বৃক্ষরোপন পক্ষ ও জাতীয় ফল প্রদর্শনী মেলা’ উপজেলার বড়ইছড়ি এলাকায় প্রতিবারের ন্যায় অনুষ্ঠিত হয়।
১৭ জুলাই উদ্বোধনের মাধ্যমে মেলার প্রদর্শনী কার্যক্রম শুরু হয়। প্রদর্শনীটি বৃহস্পতিবারও (১৯ জুলাই) ঢিলেঢালাভাবে সম্পন্ন হয়।
মেলাটি সরজমিনে ঘুরে আগত দর্শনার্থী ও নার্সারী প্রতিনিধিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, এবারের কৃষি মেলাটি ছিল দর্শনার্থী শূন্য, লোকজন নেই বলেই চলে। বেচাকেনাও শূন্যের কোঠায়। স্টলগুলো খালি পড়ে আছে। কোন ধরনের বেচা-বিক্রি নেই বলেই চলে।
দর্শনার্থী ফাররু, জামাল, কলেজ শিক্ষার্থী নুর ও গৃহিনী ঝর্ণা বেগম জানান, আমরা এ ধরনের সাদামাটা মেলা আর কখনও দেখি নাই, মেলাতে কিছুই নেই। কোন ধরনের আয়োজন নেই।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের এ ধরনের আয়োজন নিয়ে হতাশ প্রকাশ করে হাটহাজারী ফতেয়াবাদ নার্সারী মালিক আব্দুল কাদের বলেন, যে টাকা দিয়ে গাড়ি ভাড়া করে আসছি প্রদর্শনীতে সে টাকা তো উঠেই নাই, বাকি মালামাল আবার নিয়ে যেতে বাড়ি থেকে টাকা এনে যেতে হবে।
মুন্না-মুন্নি হর্টিকালচার নার্সারীর মালিক মো. ইউনুস, ইদ্রিছ জানান, লোকজন না থাকায় বিক্রয় নেই,
আমাদের মাথায় হাত। ভাতের পয়সা পর্যন্ত উঠে নাই। হতাশ প্রকাশ করে তারা জানান, পূর্বে আমরা এ ধরনের সাদামাটা জনশূন্য মেলা আর দেখি নাই।
এই প্রদর্শনীতে দর্শনার্থীর উপস্থিতি কম হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মাদ রুহুল আমিন বলেন, মেলাটি উপলক্ষ্যে আরও ব্যাপক প্রচার–প্রচারণার প্রয়োজন ছিল।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার সামসুল আলম চৌধুরী এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, আমরা তথ্য অফিস থেকে যতটুকু পেরেছি মাইকিং করেছি। ১২’শ টাকা তৈল খরচও দিয়েছি। তিনি জানান, ১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩টি আসছে বাকিগুলো শূন্য পড়ে আছে। তবে কেন আসে নাই, তার কোন সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি।