Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কাপ্তাই নতুন বাজার প্রগতি সংসদ তিন বছর পর দখল মুক্ত

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই নতুনবাজারের শিক্ষা, সাংস্কৃতি, ক্রীড়া, সামাজিক কল্যাণমুলক একটি অরাজনেতিক প্রতিষ্ঠান ‘প্রগতি সংসদ’ রেজিনং রাঙ্গামাটি-২২(৬৮৫)৭৮, (সোমবার, ১৬ অক্টোবার) দখল মুক্ত করে সিলগালা করা হয়।

প্রশাসন জানায়, সম্প্রতি তিন বছর পূর্বে পাহাড় ধস ও ভাঙনের ফলে পাহাড়ের ঢালুর নীচে বসবাসকারীদের  নিরাপত্তার জন্য সরিয়ে এনে ভাসমান আশ্রয় কেন্দ্র  হিসাবে কয়েকজনকে সামাজিক সংগঠন প্রগতি সংসদ খুলে দেয়া হয়। পরে প্রাকৃতিক দুর্যোগ ভাল হলেও ওই ক্লাবের আশ্রয়ে থাকা লোকজন বিগত তিন বছর যাবত না সরার কারণে ক্লাবের লোকজন কোন সামাজিক কার্যক্রম করতে না পাড়ায় তাদের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। পরে ক্লাবের লোকজন এ ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনকে কয়েকবার লিখিত অভিযোগ এবং মাসিক আইনশৃঙ্খলা সভায় এ বিষয়টি অবহিত করা হলে প্রশাসনের পক্ষ হতে এক সপ্তাহ সময় বেধে দেয় ওই সামাজিক সংগঠন ক্লাব হতে সরে যাওয়ার জন্য।

এক সপ্তাহ পরে সরে না যাওয়ার পর উপজেলা আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, পুলিশ প্রশাসন এবং নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলমের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে প্রগতি সংসদকে দখল মুক্ত করা হয়। ক্লাবের সভাপতি কাজী ফারুক বলেন, দীর্ঘ তিন বছর পর সংগঠনটি দখলদারদের হাত হতে প্রশাসন মুক্ত করার আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, দীর্ঘ তিন বছর যাবত অবৈধভাবে দখল করে রাখায় আমরা সকল ধরণের সামাজিক কার্যক্রম হতে  বঞ্চিত হয়ে পড়েছি। প্রশাসন এদের  উচ্ছেদ করায় আমাদের ক্লাব দখল মুক্ত।

কাপ্তাই থানার ওসি সৈদয় মোহাম্মাদ নুর জানান, অভিযোগের ভিত্তিত্বে আমরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ক্লাবকে দখল মুক্ত করেছি।

নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, দখলদারদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় উত্থাপন করার আমরা দখল মুক্ত করেছি। এবং উচ্ছে এর পর সিলগালা করা হয়েছে বলে নির্বাহী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন।

এদিকে ওয়াসিক উদ্দিন মামুন, আব্দুল মালেক ফকির ও অলেক ফকির বলেন, আমরা কোথায় যাব, আমাদের পাহাড়ে ঘর-বাড়ি সব ধবংস হয়ে গেছে, থাকার কোন জায়গা নেই।

তবে প্রশাসনের পক্ষ হতে আমাদের এক মাসের সময় দেওয়ার প্রয়োজন ছিল বলে বসবাসকারীরা উল্লেখ করেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন