কাপ্তাই উপজেলায় পাহাড় ধ্বসে ক্ষতিগ্রস্তরা স্থায়ী আশ্রয়ের জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই উপজেলার স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে গৃহহারা লোহজন প্রশাসনের নির্দেশে ২০/২২ দিন ধরে কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়ের আশ্রয় কেন্দ্রে ঠাঁই নেয়।

এদিকে বিদ্যালয় খোলার কারণে উপজেলা প্রশাসন আশ্রয় কেন্দ্রের লোকদের অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন সভা, মিটিং করতে থাকে।

এরপর অস্থায়ী ভিত্তিত্বে তিন মাসের জন্য বসতবাড়ি হারা ৪৬ পরিবারকে কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় চুক্তিভিত্তিক মাথা গোঁজার ঠাঁই দেওয়া হয়।

এদিকে আশ্রয় কেন্দ্র হতে লোকদের সরিয়ে নেওয়ার পর কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয় চালু করা হয়।

আশ্রয় কেন্দ্রের আমির আলী, ইসমাইল, ঝর্ণা বেগম বলেন, পাহাড় ধ্বসের ফলে আমরা আজ বসতবাড়িহারা হয়ে যাযাবরের মত এদিক সেদিক যাচ্ছি। কোথাও আমাদের স্থায়ী ঠাঁই হলনা। আর কতকাল আমাদের এভাবে থাকতে হবে এ প্রশ্নের উত্তর আমাদের কেউ দিতে পারেনা। ভোট আসে আমাদের নিকট হতে ভোট নিয়ে নেয় কিন্তু আমাদের কথা কেউ শোনেনা। তাই আমাদের যাযাবরের মত না ঘুরিয়ে চিরস্থায়ী একটি ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য বর্তমান সরকারের কাছে আবেদন জানাই।

আমাদের তিন মাসের জন্য উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বাসা বাড়িতে ঠাঁই দিয়েছে। এ তিনমাস গেলে আমরা কোথায় যাব? তাই তিন মাসের মধ্যে আমাদের চিরস্থায়ী ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করি।

এদিকে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম বলেন, কাপ্তাই উপজেলার ভয়াবহ পাহাড় ধ্বসে ১৮ জনের মৃত্যু এবং  প্রায় ৬ থেকে সাতশত পরিবারের ঘরবাড়ি গাছ পড়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। যার ক্ষতির পরিমান প্রায় দশকোটি টাকা বলে তিনি উল্লেখ করেন। এছাড়া দূর্যোগ মন্ত্রনালয় হতে একজন কর্মকর্তা কাপ্তাইয়ের সকল ক্ষয়ক্ষতি মনিটরিং করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, আমরা আশ্রয় কেন্দ্রের লোকজনকে তিন মাসের জন্য অস্থায়ী ভাবে বিভিন্নস্থানে ঠাঁই করে দিয়েছি। পরর্বতীতে কি করা যায় আমরা উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেব।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন