কাপ্তাইয়ে ৩শতাধিক আগর গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা

Agour

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কাপ্তাই রেঞ্জের কামিলাছড়ি বিট এলাকায় গতকাল শুক্রবার বাগানের প্রায় ৩ শতাধিক আগর গাছ কেটে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। নির্বিচারে গাছ কেটে ফেলার ঘটনাটি প্রশাসনকে জানানো হলেও এখন পর্যন্ত কোন ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। এ ঘটনায় কাপ্তাইয়ে আগর চাষীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল শুক্রবার আগর বাগানের চাষী কাঞ্চন চৌধুরী ও সজল ঘোষ তাদের বাগানে গিয়ে দেখেন, বাগানের প্রায় তিনশতাধিক আগর গাছ কে বা কাহারা নির্বিচারে কেটে ফেলে গেছে। পরে ঘটনাটি কাপ্তাই সহকারি বন সংরক্ষক, রেঞ্জকর্মকর্তা ও বিট কর্মকর্তাদের জানানো হয়।

গাছ কাটা বিষয়ে শনিবার কয়েক দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৈঠকে কাপ্তাই আগর চাষী সমিতির সভাপতি কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল বলেন, লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছি এ বাগানের জন্য। কিন্তু আজ বন বিভাগের অবহেলার কারনে, আমাদের বাগান ধবংস করা হয়েছে। তিনি বাগান রক্ষণাবেক্ষণ ও এর ক্ষতি পূরণের দাবি জানান।

এ ব্যাপারে দক্ষিণ বন বিভাগীয় কর্মকর্তা (ডিএফও) সালাহ উদ্দীন কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ঘটনাটি শুক্রবার রাতে শুনেছি। তবে এভাবে বাগান ধ্বংস করা দুঃখ জনক আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব বলে উল্লেখ করেন।

এদিকে কামিলাছড়ি বিট কর্মকর্তা এম এ বশির বলেন শনিবার বিকালে সকল অংশীদার এবং প্রশাসনের সাথে বসে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।

গাছ কেটে ধ্বংস করা বিষয়ে কাপ্তাইয়ের আগর চাষীরা বলেন, দোষীদের খুঁজে বের করে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া না হলে কোন কিছুর জন্য প্রশাসনকে দায়ভার নিতে হবে বলে হুমকি দেন। তারা বলেন, আমাদের সমস্ত অর্থ বাগানে ব্যয় করেছি। বাগানের গাছ কেটে ফেলায় আমরা এখন সর্বশান্ত। আমাদের বাগানের ক্ষতিপূরণ এখন কে দিবে। আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত এবং বিচার চাই।

উল্লেখ্য, সরকার কর্তৃক পার্বত্য চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আওতায় কাপ্তাই বন রেঞ্জের কামিলাছড়ি, শুকনাছড়ি, কাপ্তাই সদর, ব্যাঙছড়ি, রামপাহাড় এলাকাসহ বিভিন্নস্থানে বনবিভাগের ভূমির ওপর সামাজিক আগর বনায়ন কার্যক্রম ২০০৭-২০০৮ সালে প্রায় পাঁচ শতাধিক সুবিধা ভোগীদের অংশীদারি ভিত্তিতে, আগর, বাঁশ ও বেত চাষের সুবিধা প্রদান করা হয়। চাষীরা কয়েক বছর যাবৎ নিজ খরচে বাগান চাষ করতে গিয়ে ইতিমধ্যে নিজ শ্রমছাড়াও কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় করেছেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন