কাপ্তাইয়ে শিশু হত্যার ঘটনায় পার্বত্য অধিকার ফোরাম’র নিন্দা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে উমবাচিং মং মারমা (৪০) নামে এক গৃহ শিক্ষক এক শিশুকে হত্যা করায় ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য অধিকার ফোরাম।

সংগঠনটির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানা যায়, শনিবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রবিবার  (৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরে হত্যাকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উমবাচিং শিশুটির প্রাইভেট শিক্ষক ছিলেন। চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ ও স্থানীয়রা ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।

পুলিশের বরাত দিয়ে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, শনিবার ভোরে কাপ্তাইয়ের রাইখালী ইউনিয়নের পূর্ব-কোদালা উমবাচিং মারমার বাসায় প্রাইভেট পড়তে যায় চার শিশু। সকাল ৭টা থেকে ৯টা পর্যন্ত প্রাইভেট পড়ানো শেষে অপর তিন শিশুকে ছুটি দিলেও তৃতীয় শ্রেণিতে পড়য়া ওই শিশুকে থাকতে বলে উমবাচিং। পরে শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।

কিন্তু শিশুটি চিৎকার চেচামেছি শুরু করে। এতে ব্যর্থ হওয়ায় গলায় পাটের সুতলী ও গামছা পেঁচিয়ে শিশুটিকে হত্যা করে প্রাইভেট শিক্ষক।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, ঘটনার পর বিকালের দিকে শিশুকে খোঁজাখুজি শুরু করে পরিবারের সদস্যরা। তারা প্রাইভেট শিক্ষকের বাসায় গিয়ে শিশুটির খোঁজ নেন। তখন চার শিশুকে ছুটি দিয়েছে বলে জানায় উমবাচিং। কিন্তু তার অসংলগ্ন কথা-বার্তায় পরিবারের সদস্যদের মনে সন্দেহ দেখা দেয়। পরে রাতে শিশুটির নিখোঁজের বিষয়টি থানা পুলিশকে জানান তারা।

বিজ্ঞপ্তিতে প্রকাশ করা হয়, এর আগে খাগড়াছড়িতে দলে যোগ না দেওয়ায় মিতালী চাকমাকে তিন মাস আটকে রেখে ধর্ষণ করে ইউপিডিএফ।

অথচ এই ধর্ষণে যদি কোন ভাবে কোন বাঙালী জড়িত থাকতো তাহলে সারাদেশ কাপিয়ে ফেলতো সুশীল নামধারী কিছু কুচিক্রী মহল মানবতা নামধারী কিছু ষড়যন্ত্রকারীরা।

উপজাতি কর্তৃক উপজাতি মিতালী চাকমাকে আটকে রেখে ধর্ষণের বিষয়ে সেই সময়ে কেউ প্রতিবাদ জানায়নি, চুপ ছিলো সকল মানবাধিকার সংগঠন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা আশা করবো উপজাতি শিশুকে ধর্ষণকারী উমবাচিং মারমাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে চাকমা রানী ইয়েন ইয়েন, মানবাধিকার নেত্রী বাঞ্চিতা চাকমা, চেতনাধারী সুশীলরা ও সকল মানবাধিকার সংগঠনের নেত্রীরা মাঠে নামবেন।

আর যদি না নামেন কোন প্রতিবাদ না করেন তাহলে আপনারাই পাহাড়ে যে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ ইস্যু তুলে মাঠ গরম করার চেষ্টা করেন তা শুধু পাহাড়ের সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার জন্য ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার জন্যই করেন বলে দেশবাসীর কাছে প্রতিয়মান হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে পার্বত্য অধিকার ফোরাম ও বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা শাখার পক্ষ থেকে ধর্ষক উমবাচিং মং মারমাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পার্বত্য চট্টগ্রামে এই ধর্ষক উপজাতি বলে মুখে কুলুপ লাগিয়ে বসে আছে প্রফেসর বাঞ্চিতা চাকমা নামে কথিত মানবাধিকার কর্মীরা। পার্বত্য চট্টগ্রামে বাঙালীদের পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় এইসব মানবধিকার কমিশনের তোলপার। শুরু হয়ে যায় পাহাড়ে কথিত নারী অধিকারের নামে কথা বলা হিল উইমেন ফেডারশন নামে উপজাতীয় সংগঠনের লাফালাফি। তাদের সাথে যোগ দেয় কথিত সুশীল নামক কিছু রাম বামেরা। কিন্তু আজকে তারা কোন গর্তে লুকিয়ে রয়েছে ? ধর্ষক উপজাতি বলেই কি তারা আজকে অন্ধ হয়েছে ?

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন