কাপ্তাইয়ে দীর্ঘ চার বছর পর ছবি হত্যার প্রকৃত খুনীর সন্ধানে মানবাধিকার সংস্থা
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
কাপ্তাইয়ের ব্যাংঙছড়ি উপজাতীয় যুবতী ছবি হত্যার দীর্ঘ চার বছর পর প্রকৃত আসামীর সন্ধানে সরজমিনে আসে মানবাধিকার সংস্থা, বাংলাদেশ আইন সহায়তা কেন্দ্র(বাসক)এর চেয়ারম্যান সাগরিকা ইসলামসহ চার সদস্যর একটি টিম।
২০১৪ সালের ১৫ ডিসেম্বর কাপ্তাই ব্যাংঙছড়ি এলাকায় স্কুল ছাত্রী উম্রাচিং মারমা ওরফে ছবি মারমা(১৬)কে পাহাড়ের ওপর ধর্ষণের চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে পরে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যার দায়ে মো. নিজাম উদ্দিন, (পিতা মো. নাছির উদ্দিন) ও মো. রানা, (পিতা. মাহাতাব আলী)কে কাপ্তাই থানা আটক করে।
নির্মমভাবে খুন করার দায়ে ছবির পিতা আনুমং মারমা কাপ্তাই থানায় একটি মামলা দায়ের করে যার মামলা নং ৬(১২)১৪ ধারা ৩০২/৩৪দঃ বিঃ জিআর মামলা নং ৩৬৫/১৪।
মামলার স্বাক্ষী হওয়া দরুন ফেঁসে যায় একই এলাকার নিজাম উদ্দিন। মৃত কামাল উদ্দিনের ছেলে নিজাম উদ্দিনকে হয়রানীমুলক ভাবে আসামি করা ও দোষী আসামীকে তদন্ত পূর্বক বাহির করে আইনি সহায়তা চেয়ে একটি লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে মানবাধীকার সংস্থা (বাসক)এর চেয়ারম্যান সাগরিকা ইসলামসহ চার সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত দল কাপ্তাই থানার সহযোগিতা নিয়ে চলতি বছরের ২০ জুলাই কাপ্তাই ব্যাংঙছড়ি সরজমিনে মামলার বাদি এবং স্বাক্ষীদের সাথে কথা বললে প্রকৃত আসামীর রহস্য বের হয়ে আসে।
গত ২৩ জুলাই সংস্থার লিখিত তদন্ত প্রতিবেদনে জানা যায়, তাদের তদন্তে বাদি ও স্থানীয় স্বাক্ষীর লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায় যে প্রকৃত খুনি নিজাম উদ্দিন, পিতা-মো. নাছির উদ্দিন(জামিনে) ও মো. রানা পিতা মাহতাব আলী (জেলা হাজতে) রয়েছে।কাপ্তাই থানার এসআই কামরুল ইসলাম যড়যন্ত্র মুলক নির্দোষ নিজাম উদ্দিন (পিতা মৃত কামাল উদ্দিন, মাতা রাবেয়া বেগম)কে আসামি করে মামলা দিয়েছিল।
সংস্থা তদন্ত প্রতিবেদনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিকট স্বাক্ষীর দেয়া সকলকাগজপত্র,ভিডিও রেকর্ড,জমা দেয়া হয়। এবং নির্র্দোষ নিজাম উদ্দিন (পিতা কামাল উদ্দিন )কে ষড়যন্ত্র মুলক মামলা থেকে অব্যাহতিদি প্রকৃত আসামি নিজাম উদ্দিন(পিতা নাছির উদ্দিন)কে ও উৎকোচ চেয়ে সাজানো মিথ্যা মামলা দেয়ার অপরাধে কাপ্তাই থানার এসআই কামরুল ইসলামকে আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান।