কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা ইউপি নির্বাচন নিয়ে ভিন্ন ধারার হিসাব-নিকাশ
কাপ্তাই প্রতিনিধি:
আগামী ১২ নভেম্বর কাপ্তাই উপজেলার ১নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। আর এ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে বিভিন্ন আলোচনা সমালোচনা। পাশাপাশি চলছে ভিন্নধারার হিসাব নিকাশও।
জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন পরিষদের মধ্যে ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপি পরিষদ নির্বাচন অতিগুরত্বপূর্ণ এলাকা হিসাবে সকলের নিকট পরিচিত। উক্ত নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। এর মধ্যে বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম (বেবি) নৌকা প্রতিক, বিএনপির মনোনীত প্রাথী জাকির হোসেন (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান প্রার্থী মুহাম্মদ হারুনুর রশিদ (হাত পাখা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে রয়েছে ইব্রাহিম হাবিব মিলু (আনারস) মার্কা নিয়ে। এছাড়া মহিলা সদস্য প্রার্থী ৯জন এবং সংরক্ষীত সদস্য ৩৩জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছে। উক্ত ১নং ইউপি পরিষদে মোট ভোটার ৯ হাজার ৫৪০জন। এর মধ্যে পুরুষ ৫,২৯৫ জন মহিলা ৪,২৪৫ জন ভোটার রয়েছে।
চন্দ্রঘোনা এলাকা ঘুরে দেখা যায়, একজন চেয়ারম্যান প্রার্থী ও সকল সদস্যদের পোস্টার দেখা গেলেও অন্যকোন চেয়ারম্যানের কোন পোষ্টার চোখে পড়েনি। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অন্য তিন জন চেয়াম্যান প্রার্থীর কোন জবাব পাওয়া যায়নি। নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন প্রার্থী বলেন, ‘ভাই পরে বিস্তারিত বলব। আপাতত আমি হুমকির কারনে ভয়ে এলাকার বাইরে রয়েছি।’
প্রশাসনের পক্ষ হতে জানা যায় নির্বাচন সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হবে। কোন ধরনের জাল বা সন্ত্রাস করে ভোট হতে চাইলে আমরা তা হতে দেবনা। এখানে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে বলে আমাদের বিশ্বাস।
এদিকে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্ধিতাকারী আনোয়ারুল ইসলাম বেবীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এলাকায় অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন আমিও চাই। আশাকরি এখানে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি জনগনের রায় পাব। তিনি বলেন, আমাকে জনগন নির্বাচিত করলে প্রথমে এলাকার মাদকমুক্ত, সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গঠন করব। কর্ণফুলী পেপার মিলস (কেপিএম), সাবেক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর দাদাকে নিয়ে আরো কিভাবে উন্নয়ন এবং উৎপাদন করে সচল রাখা যায় তার জন্য কাজ করে যাব। এছাড়া এলাকার বেকার যুবসমাজ এর জন্য হস্তশিল্প, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ এর ব্যবস্থা এবং সরকারের দেওয়া সকল প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবেন বলেও তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার ৫টি ইউপির মধ্যে ১নং চন্দ্রঘোনা ইউপির সিমানা জটিলতা নিয়ে একটি মামলা করলে উক্ত ইউপি নির্বাচন স্থগিত হয়। পরে আবার রিট করায় এটি খারিজ করে নির্বাচন কমিশনার আগামি ১২নভেম্বর পুনরায় নির্বাচন করার অনুমতি প্রদান করেন।