Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কাউন্সিল উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলা বিএনপির সহস্রাধিক নেতা এখন ঢাকায়: প্রত্যাশা ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন

68279_10154014870411672_7370385067796608753_n

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

৬ষ্ঠ কেন্দ্রীয় কাউন্সিল উপলক্ষে তিন পার্বত্য জেলা বিএনপির সহস্রাধিক নেতা এখন ঢাকায় অবস্থান করছেন। কাউন্সিল উপলক্ষে তাদের মধ্যে প্রবল উৎসাহ, উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুইতিন দিন আগে থেকেই তারা ঢাকায় আসতে শুরু করেছেন। তবে সবচেয়ে বেশী এসেছেন শুক্রবার। শনিবার সকালের মধ্যেও অনেকে ঢাকায় এসে পৌঁছেবেন বলে জানা গেছে। যাদের নিজেদের গাড়ি আছে তারা নিজেরা গাড়ি নিয়েই ঢাকায় এসেছেন। অনেকে এসেছেন নেতাদের গাড়িতে। তবে বেশিরভাগই গাড়ি রিজার্ভ করে এসেছেন বলে জানা গেছে। যারা গাড়িতে স্থান পাননি তারা নিয়মিত পরিবহনে এসেছেন।

যারা এরই মধ্যে পৌঁছে গেছেন, তারা বিভিন্ন হোটেল, আত্মীয় স্বজন, বন্ধুদের বাসা, বাড়ি, মেস, হোস্টেলে উঠেছেন। সিনিয়র নেতাদের মধ্যে যাদের ঢাকায় বাসা আছে তাদের বাসায়ও অনেক নেতাকর্মী স্থান নিয়েছে। কোথায় থাকছেন, কী খাচ্ছেন- তার থেকেও কাউন্সিলের প্রাণচাঞ্চল্য তাদের কাছে বেশী।

ইতোমধ্যে যারা ডেলিগেট কার্ড পেয়ে গেছেন তারা মহাখুশী। যারা এখনো পাননি তারা নেতাদের ধরে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

ঢাকায় আগত তিন পার্বত্য জেলা বিএনপি ও এর অংগ সংগঠনের নেতাদের শুক্রবার বিকেলে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় অফিসে, আবার কাউকে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কাউন্সিল কার্যালয় ঘুরে দেখে সময় কাটিয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে সেলফি তুলতে দেখা যায় অনেককে। সকাল সাড়ে আটটার মধ্যে সকল নেতাকর্মীরা কাউন্সিল স্থলে পৌঁছাবেন বলে পার্বত্যনিউজকে জানিয়েছেন।

তিন পার্বত্য জেলার বিএনপি নেতাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রাঙামাটি থেকে এ পর্যন্ত দেড় শতাধিক বিএনপির নেতাকর্মী কাউন্সিলে যোগ দিতে ঢাকা এসেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম। এর মধ্যে ২৬ জন কাউন্সিলর এবং বাকিরা সকলে ডেলিগেট। বান্দরবান থেকে প্রায় ৩ শত নেতকর্মী এসেছেন বলে জানিয়েছেন বান্দরবান জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওসমান গণি। এর মধ্যে ২২ টি কাউন্সিলর কার্ড ও ৮০টি ডেলিগেট কার্ড পেয়েছে কেন্দ্র থেকে।

তবে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা থেকে এ পর্যন্ত আট শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী কাউন্সিলে যোগ দিতে ও কাউন্সিল দেখতে ঢাকায় এসেছেন বলে জানিয়েছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভুঁইয়া। এর মধ্যে ২৮ জন কাউন্সিলর ও ৮০ জন ডেলিগেট কার্ড পেয়েছে অফিসিয়ালি। তবে এর বাইরেও খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির বিপুল পরিমাণ নেতা নানাভাবে ডেলিগেট কার্ড সংগ্রহ করেছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে।

এদিকে শনিবারের কাউন্সিলকে পার্বত্য চট্টগ্রামের বিএনপি নেতারা কিভাবে দেখছেন, কি তাদের ভাবনা, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিশেষ রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে কী তাদের প্রত্যাশা- তা জানতে পার্বত্যনিউজের পক্ষ থেকে তিন পার্বত্য জেলার বিএনপির সিনিয়র নেতাদের সাথে যোগাযোগ করা হয়।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক ও রাঙামাটি জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি দীপেন দেওযান এ বিষয়ে তার প্রতিক্রিয়ায় পার্বত্যনিউজকে বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন কোনো বিষয় নয়। এখন বাংলাদেশের কথা চিন্তা করতে হবে। যেকোনো মূল্যে বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। পুননির্বাচিত বিএনপি নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এ বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেবেন বলে আমরা প্রত্যাশা করছি।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি শাহ আলম পার্বত্যনিউজকে বলেন, এই কাউন্সিলের মাধ্যমে আমাদের বিএনপিতে নতুন কমিটি গঠিত হবে। বিএনপি উজ্জীবীত হবে, সকলে এরা সক্রিয় হবে। পার্বত্যচট্টগ্রামে সকল সম্প্রদায়ের লোক নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপি এগিয়ে যাবে এটাই আমার প্রত্যাশা।

রাঙামাটি জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম চৌধুরী ভুট্টো পার্বত্যনিউজকে বলেন, আগামী দিনে পরিচ্ছন্ন বিএনপির নেতাদের স্বীকৃতির মাধ্যমে পার্বত্য এলাকায় বিএনপির ভাবমূর্তি  উজ্জল করতে চাই। বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা পার্বত্য এলাকায় বিএনপির প্রতিষ্ঠা দৃঢ় করতে চাই। পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা প্রকৃতপক্ষে বিএনপি করে এই কাউন্সিলে বিএনপি তাদের মূল্যায়ন করবে এ প্রত্যাশা তার।

বান্দরবান জেলা বিএনপির সভাপতি সাচি প্রু জেরি পার্বত্যনিউজকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এটা বিএনপির জন্য শুভ পদক্ষেপ। দীর্ঘ দিন পর এই কাউন্সিল হচ্ছে বলে সকলে উৎফুল্ল। তিনি চান, এ কাউন্সিল সর্বাঙ্গীনভাবে সফল হোক।

বান্দরবান জেলা বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ওসমান গণি পার্বত্যনিউজকে তার প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছেন, বেগম খালেদা জিয়া পুননির্বাচিত হওয়ায় আমরা বান্দরবান জেলা বিএনপি অত্যন্ত খুশী। অনেক বিপদ মোকাবেলা করে তিনি আবার কাউন্সিল করতে পারছেন এ জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। তার নেতৃত্বে বিএনপি ঘুরে দাঁড়াক। আমরা সকলে তার নেতৃত্বে আন্দোলন করে এই সরকারের পতন ঘটাবো।

এদিকে খগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি ওয়াদুদ ভুঁইয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, প্রথমত আমরা এই সম্মেলনের মাধ্যমে আমরা কার্যকর একটি কমিটি আশা করছি। আর যদি এই এই সম্মেলন ও আগামী কমিটি যদি মাঠের ত্যাগী নেতাদের চিহ্নিত করতে না পারে, পূর্বের মতো বর্ণচোরারা পদ দখল করে থাকে এবং তাদেরকে বিএনপি থেকে দুরে সরাতে না পারলে বিএনপি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, ঘুরে দাঁড়াতে পারবে না। পার্বত্যবাসী হিসাবে আমার প্রত্যাশা, পার্বত্য চট্টগ্রামে যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপি করে তাদের যেনো নতুন কমিটিতে স্থান দেয়া হয়। তা না করে নাম দেখে, চেহারা দেখে, বর্ণ দেখে, ধর্ম দেখে, জাত দেখে, কুল দেখে করা হয় সেখানেও বিএনপি পার্বত্য চট্টগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

খাগড়াছড়ি জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রাশিদুজ্জামান মিল্লাত পার্বত্যনিউজকে বলেন, কাউন্সিল উপলক্ষে খাগড়াছড়ি জেলা ব্পির নেতাকর্মীরা উজ্জীবীত। তারা প্রত্যাশা করে এই কাউন্সিলের মা্ধ্যমে যে কমিটি গঠিত হবে তার মাধ্যমে বিএনপি আরো গতিশীল ও সক্রিয় হবে। এবং এই সরকারের পতনে ভুমিকা রাখবে। পার্বত্যাঞ্চলে যেসকল ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও বাঙালী বসবাস করে তারা যাতে সৌহার্দ্য পূর্ণ পরিবেশে বসবাস করতে পারে সে বিষয়ে ভূমিকা রাখবে বিএনপি এ প্রত্যাশা করেন তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন