কাউখালীতে পাহাড় ধসে ও পানিতে ডুবে নিহত ২, আহত ১
আরিফুল হক মাহবুব, কাউখালী প্রতিনিধি:
বৃষ্টি কিছুটা কমলেও রাঙামাটির কাউখালীতে পাহাড় ধ্বস অব্যাহত রয়েছে। এঘটনায় উপজেলা বেতবুনিয়ার দূর্গম কালিছড়ি নামক স্থানে নাংচাপ্রু মারমা (৫২) নামে এক নারী নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় শামীমা আক্তার (৫০) নামের অপর এক নারী গুরুতর আহত হয়েছেন।
অপরদিকে ঘাগড়া ইউনিয়নের ছোট নাভাঙ্গা গ্রামে মিলন চাকমা (২৮) নামে এক যুবক পানিতে ডুবে মারা গেছে।
শুক্রবার রাত সাড়ে তিনটায় পৃথক এ দুটি হতাহতের ঘটনা ঘটে। কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল করিম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, টানা বৃষ্টিতে কাউখালীর বিভিন্ন পাহাড় ধ্বসের ঘটনা অব্যাহত থাকায় শুক্রবার উপজেলার বেতবুনিয়া ইউনিয়নের কালীছড়ি নামক স্থানে মৃত মংপ্রুচাই মারমা স্ত্রী নাংচাপ্রু মারমা নিজ বসত ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। রাত সাড়ে তিনটায় প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে বাড়ীর পার্শ্বের পাহাড়টি তার ঘরের উপরে ধ্বসে পড়ে। এত তার ঘরটি সম্পূর্ণরূপে মাটি চাপা পড়ে যায়। বিকট শব্দে এলাকার লোকজন ছুটে এসে মাটির নিচে চাপা পড়া নারীকে উদ্ধার করলেও ততক্ষণে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
একই ঘটনায় বেতবুনিয়ার কাশখালী ঘোনা নামক স্থানে শামীমা আক্তার (৫০) নামের এক নারী পাহাড়ের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পাহাড় ধ্বসে মাটি চাপা পড়ে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে।
অপর ঘটনায় ঘাগড়া ইউনিয়নের ছোট নাভাঙ্গা নামক স্থানে পাহাড়ি ঢলে মিলন চাকমা (২৮) নামে এক যুবক পানিতে ডুবে মারা যায়। তার পারিবারিক সূত্র জানায়, নিহত যুবক মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। পরিবারের সদস্যদের অজান্তে সে বাড়ীর পার্শ্বে ইছামতি নদীতে গোসল করতে যায়। এসময় প্রবল স্রোতের মাঝে সে পানিতে তলিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তার লাশ উদ্ধার করে।
কাউখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড় ধ্বসে নিহতের পরিবারকে পাঁচ হাজার টাকা অনুদান দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা কমল বরণ সাহা।