কাউখালীতে কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু

কাউখালী প্রতিনিধি:
রাঙামাটি কাউখালীতে মো. সাইদুল (১৬) নামে এক কিশোরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১২ সেপ্টেম্বর বুধবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের হাসপাতাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। কাউখালী থানার ওসি কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। লাশ ময়না তদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।

পুলিশ নিহতের পারিবারিক সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, কাউখালী সদর হাসপাতাল এলাকার আমির হোসেনের ছোট ছেলে মো. সাইদুল (১৬) সন্ধ্যা ৭টায় নিজ ঘরের একটি কক্ষের ভেতর সিলিংয়ের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের সদস্যরা তাকে সেখান থেকে উদ্ধার কাউখালী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহতের বড় ভাই রুবেল জানায়, সাইদুল দীর্ঘদিন মানসিক বিকারগ্রস্ত ছিল। বুধবার সন্ধ্যায় সে বাড়ীতে প্রবেশ করে একটি কক্ষে শুয়েছিল। সে জানায়, বাসায় বিদ্যুৎ না থাকায় তার মা বাইরে বসে ছিল। এসময় সাইদুল সন্ধ্যার পর কোন এক সময় কক্ষের সিলিংয়ের সাথে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করা করে।

সন্ধ্যার পর তার ঘরের ভিতর সাইদুলকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে তার বাবা আমীর হোসেনকে খবর দেয়। পরে তারা সেখান থেকে সাইদুলকে উদ্ধার করে কাউখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার মোঃ সাজ্জাদ হোসেন জানান, হাসপাতালে ভর্তি করার আগেই তিনি মৃত্যু বরণ করেছেন।

এদিকে সাইদুলের মৃত্যু নিয়ে যথেষ্ট রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে। পরিবারের দাবী, সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অথচ যে কক্ষে সাইদুলের লাশ পাওয়া গেছে সে কক্ষের দরজা সম্পূর্ণ খোলা ছিল। হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সাইদুলের গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করার মত কোন আলামত দেখা যায়নি। যা সাইদুলে ছবিতে ষ্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে।

এছাড়া ফাাঁস লাগিয়ে আত্মত্যাকারী লাশের যেসব আলমত থাকার কথা তার সামান্যতমও খুঁজে পাওয়া যায়নি। মৃত্যুর পূর্বে সাইদুল নাকি একটি চিরকুটও লিখে যায়। তাতে তার ‘মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’- উল্লেখ করে সে। কিন্তু প্রতিবেশীদের দাবী, লেখাপড়া না জানা সাইদুল কিভাবে চিরকুট লিখলো তা নিয়ে যথেষ্ঠ সন্দেহের সৃষ্টি করছে। কথিত চিরকুট পুলিশ হেফাজতে রয়েছে।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস.আই মোঃ আল আমিন জানান, এ বিষয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ময়না তদন্তের পর মৃত্যুর আসল কারণ সম্পর্কে জানা যাবে। সে পর্যন্ত সবাইকে অপেক্ষা করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন