Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কাউখালীতে আ’লীগ-বিএনপি রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে যুবলীগ নেতা নিহত, আহত-৩০, আটক ৪

কাউখালী প্রতিনিধি:

কাউখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ঘাগড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বাছির উদ্দিন(৩৫) নিহত হয়েছেন। রবিবার সকাল সাড়ে ছয়টার সময় ভোট গ্রহণের আগে উপজেলা সদরের রাঙ্গীপাড়া এলাকায় সংঘর্ষের এই ঘটনা ঘটে।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান এবং কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেছেন এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব মেম্বারসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এ ব্যাপারে কাউখালী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

অপরদিকে কাউখালী-রাণীরহাট সড়কের পাইন বাগান এলাকায় কাউখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও কলমপতি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যজাই মারমাকে বহনকারী মাইক্রোবাসে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে গাড়ীর গ্লাস ভাংচুর করেছে দৃষ্কৃতকারীরা। যুবলীগ নেতা বাছির উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে আটককৃতরা হলো, কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব মেম্বার(৪২), মো. ওমর ফারুক (১৮), মো. শামীম (২৫), ও মো. কামলা হোসেন(৩৮)।

এ ঘটনায় কাউখালী উপজেলা সদর ও আশে পাশের এলাকা সমূহে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সম্ভাব্য সহিংসতা এড়াতে সেনা, বিজিবি ও পুলিশী টহল জোড়দার করা হয়েছে।

ঘাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী কাউসার সাংবাদিকদের জানান, রবিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ছয়টার সময় কাশখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে এজেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যায় ঘাগড়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাছির উদ্দিন। ভোরে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে দেখে তার অপর সহযোগী এজেন্ট মো. সাজ্জাদ হোসেন ভোট কেন্দ্রে আসেনি।

পরে মোটর সাইকেল নিয়ে রাঙ্গীপাড়া গ্রামে সাজ্জাদের বাড়িতে গিয়ে সাজাদকে নিয়ে ভোট কেন্দ্রে ফিরে আসার পথে রাঙ্গীপাড়া এলাকায় রিক্সাচালক কাউসারের বাড়ির এলাকায় পৌঁছলে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা মোটর সাইকেলের গতিরোধ করে এলোপাতারীভাবে লাঠি দিয়ে আঘাত করে বাছিরকে মাটিতে ফেলে দেয়।

এ সময় সাথে থাকা সাজ্জাদ কোন রকম দৌঁড়ে গিয়ে নিজেকে আর্তরক্ষা করে। এলোপাতারীভাবে আঘাত করে মাথা তেথলে দিয়ে মৃত ভেবে বাছিরকে রাস্তার পাশে ফেলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম বাছিরকে উদ্ধার করে কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।

কাজী কাউসার আরো জানান এর পূর্বে কাশখালী এলাকায় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব মেম্বারের নেতৃত্বে যুবলীগের অপরকর্মী মো. আলমগীর (২৬) কে আহত করে। তাকেও মুমূর্ষ অবস্থায় কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে বাছির উদ্দিন ও আলমগীরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে পৌঁছার পর পর বাছিরের মৃত্যু হয়।

কাজী কাউছার আরো অভিযোগ করেন বিএনপি জামাতের সন্ত্রাসীরা পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী এ হামলা করেছে। এতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় বিশজন আহত হয়েছে।

কাউখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহাড়ায় চিকিৎসাধীণ কাউখালী উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোতালেব মেম্বার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, গত কয়েকদিন থেকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের ভোট কেন্দ্রে যেতে বারন করে আসছিলো আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের কিছু নেতা কর্মী। গত শনিবার রাতেও কাশখালী ও রাঙ্গীপাড়া এলাকায় বিএনপি এবং অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের রবিবার ভোট কেন্দ্রে যেতে বারন করে দেয়। এতে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছিলো বিএনপি ও অংগ সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে। রবিবার ভোর আনুমানিক সাড়ে ছয়টার সময় কাশখালী এলাকায় সংবাদ ছড়িয়ে পড়ে যে তার ছেলেকে যুবলীগের কর্মীরা মারধর করছে। এ সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যেও উরত্তজনা সৃষ্টি হয়। তিনি অভিযোগ করেন আওয়ামী লীগের হামলায় তিনি তার স্ত্রী সন্তানসহ প্রায় দশ জন আহত হয়েছে। তবে নিরাপত্তার কারণে অনেকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়নি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, রবিবার কাউখালীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সংঘর্ষে আহতরা হলো। আলমগীর হোসেন(২৬), মনির হোসেন(৩৮), শহীদুল ইসলাম(২৮) , মো. হানিফ(২২), নাছির উদ্দিন(৩২), বেলাল হোসেন(২৮), মাকসুদ আলম(৩২), মো. সাজ্জাদ(৩০), শাহেদা বেগম(৪০), আব্দুল্যাহ আল মামুন(১৮), মো. ওমর ফারুক(১৮), মো. শাহীন (২৮), মো. সোহাগ (২৩), মো. সুমন (২৫), মো. সাব্বির(৩০), মো. মাসুম(২৮), আব্দুর রহমান কালু (৪৫), মো. শহিদুল(৩২), মো. শরীফ (২৩), মো. রিয়াজ(৩০), মো. সেকু (২৭)।

কাউখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মনজুরুল আলম জানিয়েছেন, যে কোন ধরনের সহিংসতা এড়ানোর জন্য উপজেলা সদর ও আশে পাশের এলাকায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা জোড়দার করা হয়েছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন