Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কর্ণফুলী নদীতে জেলেদের মাছধরা সিদ্ধান্ত বাতিল করা না হলে প্রয়োজনে যুদ্ধ করব

29-04-2017 copy

কাপ্তাই প্রতিনিধি:

কর্ণফুলী নদীতে মাছধরার অনুমতি প্রদান করা না হলে প্রয়োজনে যুদ্ধ করার ঘোষণা প্রদান করেন কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন।

শনিবার কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন ও বিএফডিসি কাপ্তাই উপকেন্দ্র আয়োজনে ৪নং ইউপি পরিষদ হল রুমে কাপ্তাই হ্রদ হতে মাছধরা, সংরক্ষণ, বাজারজাত করণ, শুকানো এবং পরিবহন নিষিদ্ধ সংক্রান্ত জনঅবহিতকরণ ও উদ্বুদ্ধকরণসভা কাপ্তাই হ্রদ ও কর্ণফুলী নদীর জেলেদের নিয়ে কাপ্তাই নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলমের সভাপতিত্বে এক সভা সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত হয়।

সম্প্রতি ১১এপ্রিল রাঙ্গামাটি জেলায় মাসিক সভায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও কাপ্তাই হ্রদে মাছের বংশ বিস্তার, মাছ প্রজননের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক কাপ্তাই হ্রদ তথা জেলার আওতাধীন কর্ণফুলী নদী কাপ্তাই উপজেলার বড়ইছড়ি পর্যন্ত সকল ধরনের মাছ ধরা আগামী ১মে হতে তিন মাস পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করে একটি পরিপত্র জারি করে এবং কাপ্তাই তথ্য অফিসের মাধ্যমে প্রচার পত্র ঘোষণা করা হয়।

ওই পরিপত্র ঘোষণা করার পর কাপ্তাই কর্ণফুলী নদীর শত শত মাছধরা জেলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং মাছধরা বন্ধ ঘোষণা শুনে উত্তেজনা বিরাজ করে। জনঅবহিতকরণ সভায় জেলেরা বলেন, কাপ্তাইয়ে ইতিহাসে তথ্য হ্রদ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর হতে পরিকল্পিত হ্রদে মাছ ধরা বন্ধ হতো কিন্তু কর্ণফুলী নদীতে যেখানে জোয়ার-ভাটা প্রবাহমান সেখানে কখনও মাছধরা বন্ধ ঘোষণা করা হতো না।

এবার এ প্রথম রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের পক্ষ হতে ঘোষণা  শুনে হতবাক হলাম। বয়স আশি উর্ধ্বে চিৎমরম হতে এক জেলে বলেন, আমার বাবা-দাদা আমল থেকে মাছ ধরছি কখনও কর্ণফুলী নদীতে মাছধরা বন্ধ ঘোষণা শুনিনি এ প্রথম শুনলাম। এটি যদি বন্ধ করা হয় তাহলে আমরা ছেলে-মেয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে কষ্টে পড়বো।

কাপ্তাই বর্তমান আ’লীগ সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অংসুইছাই চৌধুরী বলেন, এ ঘোষণা বর্তমান সরকারকে ফাঁদে ফেলানো ষড়যন্ত্র বলে তিনি মন্তব্য করেন। ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ, খ্যাইসং মারমা, ইউপি সদস্য মাহাবুব, সমাজ সেবক কাজী মাকসুদুর রহমান বাবুল, মাছ ব্যবসায়ী শাহ আলম, সংগঠক নেতা একরামুল হক বলেন, কাপ্তাই ইতিহাসে কর্ণফুলী নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করা চরম অন্যায়। এতে করে দিন, দিন উত্তেজনা বাড়বে এবং আইনশৃঙ্খলা অবনতি হবে।

তাই কর্ণফুলী নদীতে বন্ধ ঘোষণা তুলে নেওয়ার জন্য জেলা প্রশাসক তথা বিএফডিসিকে আহ্বান জানানো হয়। সভায় শত শত জেলেরা উপস্থিত হয়ে এ বন্ধের প্রতিবাদ জানান।

বক্তব্য রাখেন, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নুরনাহার বেগম, কাপ্তাই বিএফডিসির কর্মকর্তা শামসুজ্জামান, ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি সাগর চক্রবর্ত্তী, বিউবো সিবিএ নেতা আব্দুল ওহাব, বিএনপি ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম নুর মুন্নাসহ বিভিন্ন শ্রমজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

সভায় প্রধান অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান দিলদার হোসেন বলেন, কাপ্তাইয়ের কোন জন প্রতিনিধি, ইউএনও তথা জেলে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিকে কোন কিছু না জানিয়ে হঠাৎ জেলা প্রশাসক যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা ঠিক করেনি। আগামী ৮মে জেলা প্রশাসকের মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিং কর্ণফুলী নদীর বন্ধ ঘোষণা যদি তুলে না নেওয়া হয় তাহলে প্রয়োজনে যুদ্ধ ঘোষণা করবে বলেও কাপ্তাই সভায় ঘোষণা প্রদান করে।

সভাপতি কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল আলম আগত কর্ণফুলী জেলেদের সান্ত্বনা প্রদান করেন এবং বলেন, কাপ্তাই হ্রদের মাছধরা বন্ধ থাকবে তবে কর্ণফুলী নদীতে আপাতত মাছ ধরেন আমরা আগামী ৮মে জেলা প্রশাসকের সভায় স্যারকে এ ব্যাপারে বুজিয়ে বললে অবশ্যই একটি সমাধান আসবে। নির্বাহী কর্মকর্তার ঘোষণা শুনে সকল জেলে শান্ত হয়ে যায় এবং আগামী ৮মে’র চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের জন্য সকল জেলে অপেক্ষা করছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন