Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

কক্সবাজারে বৈঠক: বাংলাদেশ-মিয়ানমার ‘সীমান্ত বাজার’ চালুর উদ্যোগ

বিজিবি-বিজিপি পতাকা বৈঠক

টেকনাফ প্রতিনিধি:

বাংলাদেশ-মিয়ানমার ‘সীমান্ত বাজার’ চালুর উদ্যোগে মিয়ানমারের প্রতিনিধি দলের সাথে কক্সবাজারে বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ’-এর সদস্যরা সোমবার সকালে কক্সবাজার সৈকতের একটি হোটেলে সীমান্ত বাজার চালু করার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনায় বসবেন বলে জানা যায়।  রোববার বিকালে ষ্টিমার যোগে মিয়ানমারের একটি প্রতিনিধি দল টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছে।

বিগত ২২ বছর যাবত বাংলাদেশের ‘টেকনাফ’ এবং মিয়ানমারের ‘মংডু’ শহরের সীমান্ত বাণিজ্য  চলে আসছে। এ সীমান্ত বাণিজ্যকে আরও গতিশীল করতে দুই দেশের ভেতরে ‘সীমান্ত বাজার’ বসানোর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ এর আয়োজনে বৈঠকে ৯ সদস্যের মিয়ানমারের ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন সে দেশের ‘রাখাইন স্টেট চেম্বার অব কমার্স’র চেয়ারম্যান অং অং থান।  আর ২০ সদস্যের বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দেবেন কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবু মোর্শেদ চৌধুরী। বৈঠকে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

বৈঠক  প্রসঙ্গে আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, এর আগেও দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আট দফা বৈঠক হয়েছিল। এসব বৈঠকে দুই দেশের অভ্যন্তরে ‘সীমান্ত বাজার’ বসানোর বিষয়ে সীদ্ধান্ত হয়েছিল। বাংলাদেশে উৎপাদিত পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা ‘মংডু’ শহরে কয়েক দিনের জন্য সীমান্ত বাজার বসাবেন। এর উদ্দেশ্য হল মিয়ানমারে বাংলাদেশি পণ্যের নতুন বাজার সৃষ্টি করা। একইভাবে মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা টেকনাফে এ রকম বাজার বসাবেন। দুই দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে। বাংলাদেশ-মিয়ানমার বর্ডার ট্রেড জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপের সভায় উত্থাপিত টেকনাফের ব্যবসায়ীরা সীমান্ত বাণিজ্যের জন্য মিয়ানমারের মংডুতে গিয়ে তিন দিন থাকতে পারেন। সেখানে অবস্থানের সময় সাত থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় বাড়ানোর বিষয়ে এবার আলোচনা হবে। এছাড়া ইয়াবাসহ মাদকদ্রব্য চোরাচালানকে নিরুৎসাহিত করে সীমান্ত বাণিজ্যকে গতিশীল করার নানা উপায় বের করা নিয়ে আলোচনা করবেন ব্যবসায়ীরা।

টেকনাফ স্থলবন্দর আমদানি রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক এহতেশামুল হক বাহাদুর বলেন, বাংলাদেশি সিমেন্ট, ওষুধ, অ্যালুমিনিয়াম সামগ্রী, কোমল পানীয়, খাদ্যপণ্যের চাহিদা রয়েছে মিয়ারমারে। দীর্ঘ ২১ বছর আগে টেকনাফ স্থলবন্দর চালু হলেও সমস্যা থেকে গেছে অনেক। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা পণ্য বাছাই করতে মিয়ানমারে গেলে সঙ্গে মুঠোফোন ও ক্যামেরা নিতে পারেন না। মংডুর বাইরেও যেতে দেওয়া হয় না। কিন্তু মিয়ানমারের ব্যবসায়ীরা টেকনাফে এসে কক্সবাজার হয়ে চট্টগ্রাম পর্যন্ত যেতে পারেন। তাদের মুঠোফোন ও ক্যামেরা ব্যবহার করতে বাধা দেওয়া হয় না। দু’দেশের ব্যবসায়ীদের বৈঠকে এ সমস্যার সুরাহা করা দরকার বলেও জানান তিনি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন