কক্সবাজারে দুর্গাপূজায় সহিংসতার ভয় নেই, পূজা হবে ৩০১ মণ্ডপে

বিশেষ  প্রতিনিধি, কক্সবাজার:

পুজার সময় সহিংসতার কোন আশঙ্কা নেই জানিয়ে পুজা কমিটির নেতারা জানান,

কক্সবাজারে ৩০১ পুজা মণ্ডপে এবারে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

১৫ অক্টোবর সৈমুদ্র সৈকতে বড় এক সমাবেশের মধ্যদিয়ে দুর্গা বিসর্জন দেয়া হবে সাগরে। ওই সমাবেশে প্রধান অতিথি থাকবেন ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে আজ সকালে আয়োজিত সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময়কালে পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি এড. রনজিত দাশ একথা বলেন।

তিনি জানান, সারাদেশে কক্সবাজার সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতির উদাহারণ। পুজার সময় নিরাপত্তার ব্যাপারে কোনো আশঙ্কা নাই।

এখানে দল-মত ও ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের সহয়োগিতায় পয়জা উদযাপন হয়ে থাকে।

তিনি বলেন, কক্সবাজাররের মানুষ ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে সম্প্রীতির উদাহারন স্থাপন করেছে। কক্সবাজার পর্যটন নগরী শুধু নয় এখন সম্প্রীতির নগরীও।

এড. রনজিত জানান, গত বছরের চেয়ে ৮টি পূজামণ্ডপ বেডে এবারে ১০১ পুজামণ্ডপে পুজা অনুষ্ঠিত হবে। সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও একটি মণ্ডপে

পুজা অনুষ্ঠিত হবে। ওখানে কুতুপালং ক্যাম্পে ১০১ পরিবারের ৪৫০ জন আরাকানী (রোহিঙ্গা) হিন্দু আছে।

মতবিনিময় সভায় আরো জানানো হয়, বিসর্জনের দিন সৈকতের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন ভারতীয় হাই কমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রীংলা।

এছাড়াও পূজামণ্ডপ পরিদর্শনে আসছেন তিনজন বিচারপতি যথাক্রমে বিচারপতি জিনাত আরা, বিচারপতি মো জাহাঙ্গীর হোসন ও বিচারপতি কৃঞ্চা দেবনাথ।

উল্লেখ্য কক্সবাজারে প্রায় তিন লাখ ৭০ হাজার সনাতনী ধর্মাবলম্বী বসবাস করে থাকেন। শত বছর ধরে তাদের সাথে এখানকার মুসলমানদের বিরাজ করছে সম্প্রীতি সহাবস্থান।

এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাবুল শর্মা ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন