কক্সবাজারের শিবির ক্যাডার আন্ডার ওয়ার্ল্ড ডন জামাল আটক
কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজার শহরের সাবেক দুর্ধর্ষ শিবির ক্যাডার অস্ত্র ব্যবসায়ী ও আন্ডার ওয়াল্ডের অঘোষিত ডন সুলতান মাহামুদ খান ওরফে জামাল ঢাকায় গ্রেপ্তারের পর তার অজানা কাহিনী বেরিয়ে আসছে। গ্রেপ্তারের খবরে কক্সবাজার-চট্রগ্রাম জুড়ে তোলপাড় চলছে। জানা গেছে, ঢাকায় গোয়েন্দা পুলিশ সুলমান মাহমুদ ওরফে জামালকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে জঙ্গি সম্পৃক্ততার সন্দেহে ঢাকায় গ্রেপ্তার করা হয়।
সুত্রে জানা গেছে, ঢাকা আন্তর্জাতিক শাহজালাল বিমান বন্দর দিয়ে আমেরিকা পালিয়ে যাওয়ার সময় কক্সবাজারের যুদ্ধাপরাধি তালিকার আসামি শহরের হাসপাতাল সড়কের বাসিন্দা ছালামত উল্লাহ খান’র পুত্র এবং সাবেক শিবির নেতা এডভোকেট গোলাম ফারুক খাঁন কায়সারের ছোট ভাই সুলতান মাহামুদ খান উরফে জামালকে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে আটক করা হয়। এ সময় তার পাসপোর্টও জব্দ করা হয়। বিশেষ গোয়েন্দা শাখা তাকে ইমিগ্রেশন পার হলে বিমানে উঠার সময় আটক করে।
সুত্র আরো জানিয়েছে, গ্রেপ্তারকৃত সুলতান মাহমুদ ওরফে জামাল সাবেক শিবির ক্যাডার, একজন ধূর্ত অস্ত্র ব্যবসায়ী। কক্সবাজারের সাধারণ মানুষ বা নতুন প্রজন্ম তাকে সেভাবে না চিনলেও আন্ডার ওয়াল্ডের লোকজন এবং গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাকে ডন হিসাবেই চিনে। তার অঘোষিত নেতৃত্বে কক্সবাজার শহর ও শহরের বাইরে অনেক সন্ত্রাসী গ্রুপ এখনো সক্রিয় রয়েছে। এক সময় কক্সবাজার শহরের ত্রাস ডালিম বাহিনীকে পেছন থেকে পরিচালনা করতো এই জামাল। সে চট্রগ্রামের আলোচিত এইট মার্ডারের মাস্টার মাইন্ডার এবং অস্ত্রের যোগানদাতা। এছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ব্যবসা, হত্যা ও গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের পর জামিন না মন্জুর করে ঢাকা জেলে পাঠানো হয়। বিশেষ তদন্তের জন্য তাকে কক্সবাজার আনা হচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, গ্রেপ্তারকৃত সুলতান মাহমুদ ওরফে জামালের পুরো পরিচয় হচ্ছে। তার পিতা যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত আসামি ছালামত উল্লাহ খান। তাদের নিজ বাড়ি মহেশখালির বড় মহেশখালি ইউনিয়নের ফকিরা ঘোনা। বর্তমানে কক্সবাজার শহরের হাসপাতাল সড়কের মালেকা মন্জিলে বসবাস করছেন। কক্সবাজারের সচেতন মহলে এখন একটাই আলোচনা, পিতা রয়েছেন যুদ্ধাপরাধি তালিকায় আর পুত্র অস্ত্র ও জঙ্গি সম্পৃক্ততায়!
এদিকে ২৩ অক্টোবর সকালে এ বিষয়ে ঢাকা এয়ারপোর্ট থানার ওসি ও কক্সবাজার ডিএসবি ওসি’র সাথে যোগাযোগ করে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করা গেছে। তারা আরো বলেছেন, গ্রেপ্তারকৃত সুলমান মাহমুদ ওরফে জামাল একজন শিবির ক্যাডার ও অস্ত্র ব্যবসায়ী। কক্সবাজার পুলিশ সুপারের নির্দেশে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।