ওয়াইফাইর আওতায় থাকবে মাটিরাঙ্গার ইন্টারনেট মেলা

05.09

মুজিবুর রহমান ভুইয়া :
যেখানে দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার কথা ভাবাই যায়না সেই মাটিরাঙ্গায় ‘ওয়াইফাই’ জোনের আওতায় থাকবে এবারের ইন্টারনেট মেলা প্রাঙ্গণ। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আগত  দর্শনার্থীরা মেলা প্রাঙ্গণে ইন্টারনেটের ব্যবহার করতে পারবে এমন তথ্য জানিয়ে কমপক্ষে দশ হাজার দর্শনার্থী উপস্থিতির লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছেন মাটিরাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিএম মশিউর রহমান ও আইসিটি ফোকাল পারসন ইমরুল কায়েস।

মাটিরাঙ্গায় প্রথম বারের এতো বড় পরিসরে আয়োজিত এ মেলা সফল করতে ব্যস্ত আয়োজকরা। মেলাকে সফল করতে নিয়মিত শিক্ষক-সাংবাদিকসহ বিভিন্ন মহলের সাথে সভা করছেন সংশ্লিষ্টরা। তাদের মতে এবারের মেলা হবে সত্যিকারের ডিজিটাল মেলা বা ইন্টারনেট সপ্তাহ। এখানে সকলে আসবে খালি হাতে তবে ফিরে যাবে জ্ঞানের ভান্ডার সম্বৃদ্ধ করে।

মেলায় আগতদের জন্য র‌্যাফেল ড্র আয়োজনের কথা উল্লেখ করে মেলা আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও আইসিটি ফোকাল পারসন ইমরুল কায়েস বলেন, র‌্যাফেলড্র-তে অংশ নিতে টিকিটের কোন মূল্য দিতে হবেনা। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে বিজয়ীর পুরস্কার দেয়া হবে। এছাড়াও ইন্টারনেট ভিত্তিক কুইজ ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন থাকবে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য।

মেলা উপলক্ষ্যে ‘লার্নিং এন্ড আর্নিং’ শীর্ষক কর্মশালা ছাড়াও ‘ইনোভেশান ইন পাবলিক সার্ভিস’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজনের কথা জানান সহকারী কমিশনার ও ইমরুল কায়েস। এছাড়াও এসএসসি ও এইচএসসি সমমানের শিক্ষার্থীদের জন্য বিনামূল্যে কমপক্ষে তিন হাজার ইমেইল ও ফেইসবুক আইডি খোলার টার্গেট রয়েছে বলেও জানান তিনি।

যারা মেলা প্রঙ্গনে আসবেননা তারা ঘরে বসেই মেলার খবর জানতে পারবেন বলেও জানান এ দু’ব্যক্তিত্ব। তারা বলেন, স্থানীয় ক্যাবল অপারেটরদের মাধ্যমে এবারের ডিজিটাল মেলা ও ইন্টারনেট সপ্তাহ লাইভ টেলিকাস্ট করা হবে । যা আগে কখনো হয়নি।

মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদ মাঠে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ির জেলার সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মেলার উদ্বোধন করবেন। আর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামান।

প্রসঙ্গত, দেশে ইন্টারনেট প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে এবং দেশীয় ইন্টারনেট পণ্য ও সেবার মান প্রসারে দেশের শীর্ষ মোবাইল অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর যৌথ উদ্যোগে ঢাকা, রাজশাহী ও সিলেটেসহ সারা দেশে ৪৮৭টি উপজেলায় একযোগে ইন্টারনেট উৎসব পালিত হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন