এমপি বদিকে বরণ করতে ১০০০ হাজার গাড়ি, চার শতাধিক তোরণ

teknaf-pic-23-11-16-copy

টেকনাফ প্রতিনিধি:

কক্সবাজার–৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদিকে বরণ করতে ১০০০ হাজার গাড়ি, চার শতাধিক তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।  সীমান্ত শহর উখিয়া এবং  টেকনাফের সর্বত্র সাজ সাজ রব চলছে। এমপির আগমন উপলক্ষে তোরণ ও ব্যানারে ছেয়ে গেছে গোটা  এলাকা।  সংবর্ধনা উপলক্ষে দলীয় নেতা-কর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষদের মাঝে নতুন করে প্রাণ চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। এমনকি যারা এতদিন এমপি বদির মুক্তি কর্মকাণ্ডে শামিল ছিলেন না, তাদেরকেও এখন মহাব্যস্ত ও প্রথম সারিতে দেখা যাচ্ছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি দুর্নীতির মামলায় ৬ মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পেয়ে কক্সবাজার থেকে (উখিয়া -টেকনাফ) নিজ নির্বাচনী এলাকায় ফিরে আসার প্রাক্কালে সংবর্ধনা পেতে যাচ্ছেন। বুধবার ঢাকা থেকে তিনি নিজের নির্বাচনী এলাকায় আসছেন। সংবর্ধনার অংশ হিসেবে সংসদ সদস্য বদির এলাকা টেকনাফ ও উখিয়ায় মহাসড়কের অন্তত ৫০ কিলোমিটার সড়কে নির্মাণ করা হয়েছে চার শতাধিক তোরণ। এসব তোরণ নির্মাণ খরচের বিষয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, ‘অনেকেই সহযোগিতা দিচ্ছেন।’ এ ছাড়া টেকনাফ থেকে কয়েক‘শ যানবাহনে করে কক্সবাজার বিমানবন্দরে বিপুলসংখ্যক কর্মী-সমর্থক এসে সংসদ সদস্য বদিকে বরণ করারও প্রস্তুতি চলছে। এ জন্য লাখ লাখ টাকা খরচ করা হচ্ছে।

দুদকের দায়ের করা মামলায় সম্পদ গোপনের অভিযোগে গত ২ নভেম্বর সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির বিরুদ্ধে রায়ের ৩ বছরের সাজা  প্রদান করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এ মামলায় ১৮ দিনের মাথায় ৬ মাসের অন্তবর্তীকালীন জামিন পান তিনি।

২০ নভেম্বর রবিবার রাতে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। তবে দুর্নীতি দমন কমিশন তার এ জামিন আদেশ বাতিল করার জন্য উচ্চ আদালতে আবেদন করেছে, যা শুনানির জন্য গৃহিত হয়েছে। সংসদ সদস্য বদিকে কারাগারে পাঠানোর পর তার নির্বাচনী এলাকায় কর্মী-সমর্থকরা সড়ক অবরোধ, মিছিল-সমাবেশসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে।

টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাফর আহমদ বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল ১০০টি তোরণ নির্মাণ করা হবে। কিন্তু এলাকার লোকজন নিজেদের উদ্যোগে আরো বেশিসংখ্যক নির্মাণ করছে। এ জন্য আমাদের সাংগঠনিকভাবে কোনো বাজেট নেই। তবে স্থানীয় লোকজন নিজেরাই এসব আয়োজন করছেন।’

মহাসড়কে এভাবে তোরণ তৈরি করার বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ থানার ওসি আবদুল মজিদ বলেন, ‘দলীয়ভাবে নেতা-কর্মীদের সড়কে তোরণ নির্মাণ করার কথা শুনেছি। টেকনাফ থেকে কক্সবাজার বিমানবন্দরে যানবাহন নিয়ে নেতা-কর্মীদের জমায়েত হওয়ার কথাও শোনা গেছে।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন