Notice: Trying to get property 'post_excerpt' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 53

Notice: Trying to get property 'guid' of non-object in /home/parbatta/public_html/wp-content/themes/artheme-parbattanews/single.php on line 55

এনজিওতে ব্যাপকহারে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে রোহিঙ্গাদের: স্থানীয়দের মাঝে চাপা ক্ষোভ

ঘুমধুম প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন স্থানে স্থীত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিও সংস্থা গুলোর বিরুদ্ধে জনবল নিয়োগে রোহিঙ্গাপ্রীতির অভিযোগ ওঠেছে। স্থানীয় বেকার শিক্ষিত ছেলে-মেয়েদের নিয়োগ না দিয়ে নতুন অনুপ্রবেশকারী রোহিঙ্গা যুবক ও মহিলাদের নিয়োগ দেওয়ায় এমএসএফ, মুক্তি, রেড ক্রিসেন্ট ফিল্ড হসপিটাল, ইউএনএইচসিআরসহ কয়েকটি এনজিও সংস্থার প্রতি স্থানীয়দের ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ বাতিল না করলে স্থানীয় বেকার ছেলে/মেয়েরা উখিয়া-টেকনাফ বাচাঁও আন্দোলন কমিটির ব্যানারে বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।

উখিয়া বাঁচাও আন্দোলনের আহ্বায়ক, সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ শিকদার ক্ষুদ্ধ কন্ঠে বলেন, উখিয়া-টেকনাফের যেসব এলাকায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প বসানো হয়েছে, সেসব এলাকার বাসিন্দারা বহুমুখী ক্ষতিগ্রস্তের শিকার। পড়েছে নানা দুর্ভোগে। ভেঙ্গে পড়েছে স্থানীয় শিক্ষা ব্যবস্থাও। চলাচলে প্রতিনিয়ত হিমশিম খেতে হচ্ছে। সম্প্রতি উখিয়া উপজেলা পরিষদ হল রুমে উখিয়ার ৮টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বর্তমানে কর্মরত এনজিওদের সাথে প্রশাসন, সুশীল সমাজ এবং সাংবাদিকদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদি, উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ছেনোয়ারা বেগম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নিকারুজ্জামান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ হামিদুল হক চৌধুরীসহ বিপুল সংখ্যক দলীয় নেতাকর্মী, প্রশাসনের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে এনজিওর কার্যক্রমের উপর বিষদ আলোচনা, নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থানীয় বেকার ছেলে/মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদানসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলাপ হয়।

বৈঠকে উপস্থিত নেতৃবৃন্দের একটি মাত্র দাবি ছিল স্থানীয় ছেলে/মেয়েদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এনজিওতে নিয়োগ দেওয়া। এসময় এনজিও সংস্থার প্রতিনিধিরা বৈঠকে নেতৃবৃন্দদের আশ্বস্থ করে বলেছিলেন আগামীতে যে সমস্ত জনবল নিয়োগ দেওয়া হবে তাতে স্থানীয়দের ৮০% কোটা নির্ধারিত থাকবে। কিন্তু কথা আর কাজে মিল নেই এনজিওদের তা প্রমাণ করল এমএসএফ এনজিও সংস্থাটি।

গত ২৫ অক্টোবর এনজিওটি ‘আউটরিচ ওয়ার্কার’ পদে ৫শতাধিক লোকবল নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন। প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির সূত্র ধরে প্রায় ৫হাজারের স্থানীয় শিক্ষিত বেকার ছেলে/মেয়েরা এতে আবেদন জমা দিলেও এসব আবেদন গুরুত্ব না দিয়ে পানের দোকানদারদের দিয়ে দেয় এনজিও এমএসএফ। মাত্র নাম সর্বস্ব স্থানীয় কয়েক’ জন যুবককে চাকুরীতে নিয়োগ দিয়ে সাড়ে ৩শতাধিক রোহিঙ্গা যুবকদের নিয়োগ দিয়েছে এনজিওটি। যাদের বেতন ১৫হাজারের ঊর্ধ্বে।

এ নিয়ে উখিয়ার যুব সমাজের মাঝে সৃষ্টি হয় চরম ক্ষোভ।স্থানীয় আজিজুর রহমান নামের এক যুবক জানিয়েছেন তিনি এমএসএফ’এর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি পাওয়ার আবেদন করেছিলেন, কিন্তু তাকে নিয়োগ না দিয়ে রোহিঙ্গাদের ছেলেদের নিয়োগ দিয়েছে। প্রতিটি আউটরিচ ওয়ার্কারের বেতন-ভাতা ১৫হাজার টাকার বেশি। রোহিঙ্গারা এত উচ্চ বেতন চাকুরী পাওয়ায় স্থানীয়দের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করেছেন উখিয়া ডিগ্রি কলেজের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক তহিদুল আলম তহিদ।

এদিকে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে চলে আসার সাথে সাথে এনজিওতে চাকুরী হওয়ার খবর মিয়ানমারে চলে যাওয়ায় সেদেশ থেকে দলে দলে রোহিঙ্গারা ফের পাড়ি জমাচ্ছে এদেশে। যার ফলে দিন দিন রোহিঙ্গার ভারে নুয়ে পড়ছে উখিয়া-টেকনাফ।উখিয়া-টেকনাফ বাঁচাও আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক সাংবাদিক নুর মোহাম্মদ সিকদার আরো জানান, স্থানীয় শিক্ষিক বেকার ছেলে/মেয়েদের চাকুরী না দিয়ে ‘এমএসএফ’সহ কয়েকটি এনজিও সংস্থা মারাত্মক ভুল করেছে। এ ভুলের খেসারত দিতে হবে। তিনি এসময় ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ নিয়োগ বাতিল না করলে উখিয়া-টেকনাফ বাঁচাও আন্দোলনের পক্ষ থেকে বেকার ছেলে/মেয়েদের নিয়ে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন