এখনও মাদক ব্যবসা ছাড়েনি রোহিঙ্গারা

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

সরকারি ও বিভিন্ন দাতা সংস্থা প্রদত্ত মূল্যবান ত্রাণ সামগ্রী ও নগদ টাকা পেয়ে রোহিঙ্গারা এখন খোশমেজাজে রয়েছে। আরাম-আয়েশে দিন যাপন করলেও বাপ-দাদার পেশা এখনও ছাড়েনি রোহিঙ্গারা।

বর্তমানে রোহিঙ্গাদের কোন কাজ কর্ম না থাকায় ইয়াবা ব্যবসা ও সেবনের দিকে ঝুঁকে পড়ছে তারা। থানা পুলিশ প্রতিদিন রোহিঙ্গা ইয়াবা পাচারকারীদের আটক করলেও শীর্ষ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় ইয়াবা পাচারকারীরা রয়ে গেছে ধরা-ছোঁয়ার বাইরে।

পালংখালী ইউনিয়নের আলমগীর ফারহাদ মানিক জানান, সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রহমতেরবিল গ্রাম রোহিঙ্গাদের অবাধ বিচরণ ক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।

সেখানে একই গ্রামের ফরিদের ছেলে হারুনের হোটেলকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে স্থানীয় ও রোহিঙ্গা শীর্ষ ইয়াবা কারবারীদের নিরাপদ বৈঠকখানা।

হারুন হোটেল ব্যবসার পাশাপাশি ইয়াবা ব্যবসার সাথেও জড়িয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। একই স্থানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত অবস্থান করেই বড় বড় ইয়াবার চালানের লেনদেন হয়।

জানা যায়, শীর্ষ ইয়াবা পাচারকারীদের তালিকায় রয়েছে তাজনিমারখোলা ক্যাম্পের নজিবুল হক, টিভি টাওয়ার এলাকায় বসবাসরত রাখাইনের সাবেক চেয়ারম্যান শাহ আলম। এছাড়াও পুতিয়া ও রোহিঙ্গা ক্যাম্প ভিত্তিক ইয়াবা জগত নিয়ন্ত্রণ করে চিকুইন্যাসহ প্রায় ১০/১২জন ইয়াবা কারবারী।

কুতুপালং ক্যাম্প থেকে ইয়াবাসহ পুলিশের হাতে আটক করইবনিয়া গ্রামের মো. হোসাইনের ছেলে আব্দুস ছালাম (৪৮) ও রুমখা বাজার পাড়া গ্রামের মৃত জমির আহম্মদের ছেলে রাজা মিয়া (৩৭) জানান, রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে ইয়াবার চালান সারা দেশে পাচার হচ্ছে। এদের সঙ্গে আমাদের দেশের মানুষও ইয়াবা ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে। এদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে বাংলাদেশকে কখনও ইয়াবা মুক্ত করা যাবে না।

তারা নিজেরাও ক্যাম্প থেকে ইয়াবা ক্রয় করে স্থানীয়ভাবে লেনদেন করার কথা স্বীকার করে বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করা না হলে ইয়াবা পাচার ও লেনদেন প্রতিরোধ করা আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কাছে কঠিন হয়ে পড়বে।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল খায়ের জানান, তিনি উখিয়ায় অবস্থানকালীন সময়ে ইয়াবা পাচার স্বমূলে বিনাস করে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email
ঘটনাপ্রবাহ: এখনও মাদক ব্যবসা ছাড়েনি রোহিঙ্গারা
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন