এখনও উদ্ধার হয়নি রাঙামাটির বিলাইছড়িতে অপহৃত তিন পর্যটক

স্টাফ রিপোর্টার:

এখনো খোঁজ মেলেনি রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তে অপহৃত দুই পর্যটকসহ এক গাইডের। দীর্ঘ পাঁচ দিনেও উদ্ধার করা যায়নি তাদের। সীমান্তের ওপারে কি অবস্থায় আছে তারা এখনো নিশ্চিত করে বলতে পারছেনা কেও। চাপা আতঙ্ক বিরাজ করছে বিলাইছড়ি উপজেলার সেপুপাড়া এলাকায়। তবে অপহৃতদের উদ্ধারে যৌথ অভিযানে নেমেছে সেনাবাহিনী ও পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর দুপুর ২টায় দিকে বান্দরবানের সীমান্তবর্তী এলাকা রুমার পার্শ্ববর্তী অঞ্চল রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলায় আসার পথে বড়থলীর ইউনিয়নের সেপুপাড়া এলাকা থেকে ঢাকার দুই পর্যটক আব্দুল্লাহ জুবায়ের ও জাকির হোসেন মুন্নাসহ বান্দরবানের স্থানীয় গাইড মাংকা ম্রোকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে সীমান্তের ওপাড়ে ভারতের মিয়ানমারের নিয়ে যায়। এর পর থেকে অপহৃত তিন জনের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

এব্যাপারে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার নবগঠিত ইউনিয়ন বড়থলীর ইউপি চেয়ারম্যান আতু মং মারমা জানান, বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলীর ইউনিয়নের সেপুপাড়া সীমান্তবর্তী পার্শ্ববর্তী অঞ্চল ভারতের মিয়ানমার। সেখানে মিয়ানমারের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির সদস্যরা খুবই সক্রিয়। সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ওই তিন জনকে অপহরণ করে মিয়ানমারের দিকে নিয়ে গেছে। তাই সন্দেহ করা হচ্ছে দুই পর্যটক আব্দুল্লাহ জুবায়ের ও জাকির হোসেন মুন্নাসহ বান্দরবানের স্থানীয় গাইড মাংকা ম্রো বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির হাতে জিম্মি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বিভিন্নভাবে অপহৃতদে উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে। বান্দরবানের গাইড মাংকা ম্রোর বড় ভাই ও স্থানীয় গ্রামবাসীদের সঙ্গে নিয়ে সীমান্তের ওপাড়ে ভারতের মিয়ানমার গিয়ে অপহৃতদের খোঁজ নিবে বলে তিনি জানান।

এব্যাপারে রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা থানার কর্মকর্তা জানান, অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ ও সেনাবাহিনী যৌথভাবে কাজ করছে। তবে এখনো পর্যন্ত তাদের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় কোন মামলাও করা হয়নি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন