এক সাথে ৯ লাখ রোহিঙ্গাকে টিকা খাওয়ানো বিশ্বে প্রথম: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেছেন, এক সাথে ৯ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মাঝে টিকা খাওয়ানো কার্যক্রম বিশ্বে এটিই প্রথম। ফলে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা বর্হিবিশ্বে নজির সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত না পাঠানো পর্যন্ত স্বাস্থ্য সেবাসহ তাদের সকল সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করছে সরকার।

মঙ্গলবার (১০ অক্টোবার) দুপর দুইটার দিকে উখিয়ার থাইংখালীর জামতলী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জাহেদ মালিক টিকা কর্মসূচির উদ্বোধনকাল এসব কথা বলেন। এর আগে সকাল ৮টার দিকে উখিয়া ও টেকনাফের ১৬২টি কেন্দ্রে টিকা খাওয়ানোর কার্যক্রম শুরু হয়।

এসময় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালিক বলেন, মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে আশ্রয়ের জন্য আসা রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা চিন্তা করে স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় তাদের কলেরা জনিত ডায়রিয়া রোগের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সে লক্ষ্যে প্রথম দফায় ৬ লাখ ৫০ হাজার ও দ্বিতীয় দফায় ২ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গাদের মাঝে টিকা খাওয়ানো শুরু করে। এর আগে হাম, যক্ষা, পলিওসহ অন্যান্য রোগের টিকা ও চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের মধ্যে ১৯জন ‘এইচআইভি’ রোগী সনাক্ত করার কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে এক জনের মৃত্যু হয়েছে। অন্যান্যদের নিরাপদে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ রোগ যাতে ছড়াতে না পারে সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

মন্ত্রী আরো বলেন, বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গার মাঝে এখনো পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ সুপেয় পানিও স্যানিটেশন ব্যবস্থা সম্ভব হয়নি। এই অবস্থায় কলেরা রোগ সৃষ্টি হতে পারে। আর কলেরা একবার সৃষ্টি হলে তা মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়ে এবং মৃত্যুহার বেড়ে যায়। তাই, আগে থেকেই এই রোগের টিকা কার্যত্রম শুরু করে সরকার।

এসময় প্রতিন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর আবুল কালাম আজাদ, জাতীয় অধ্যাপক শায়েলা খাতুন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান, চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. এএম মজিবুল হক, কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. আব্দুস সালাম ও চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকীসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন