একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসে বদলে যাবে খাগড়াছড়ির আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের দৃশ্যপট
একটি ফেইসবুক স্ট্যাটাসে বদলে যাবে খাগড়াছড়ির চিরচেনা আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের দৃশ্যপট। দীর্ঘ অপেক্ষার পর আবারো সেই চেনা রূপে ফিরছে খাগড়াছড়ির অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র আলুটিলার মূল কটেজ। মূল কটেজের চারপাশে অপরিকল্পিত বনায়নের কারণে যখন আঁধারে ঢাকা পড়েছিল কটেজটি। তখন সামাজিক যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম হিসেবে পরিচিত ফেইসবুকে এনিয়ে স্ট্যাটাস দেন গণমাধ্যম কর্মী অপু দত্ত। আর স্বল্প সময়েই সেই স্ট্যাটাসটি জেলা প্রশাসনের নজরে আসে।
সে ফেইসবুক স্ট্যাটাসের সূত্র ধরে বুধবার সরেজমিন আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সালাউদ্দিন, খাগড়াছড়ির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোল্লা মো: মিজানুর রহমান, খাগড়াছড়ি রেঞ্জের ফরেস্টার প্রমং চৌধুরীসহ পার্বত্য জেলা পরিষদের নাজির মো: সাইফুল ইসলাম ও গণমাধ্যমকর্মী অপু দত্তসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
এক সময় আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের মূল কটেজ থেকে পুরো খাগড়াছড়ি জেলা শহরের নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখা যেতো। কিন্তু অপরিকল্পিত বনায়নের কারণে জেলা শহরের সেই নয়নাভিরাম দৃশ্য যখন লোক চক্ষুর আড়ালে চলে যায় তখন আর চুপ থাকতে পারেন নি খাগড়াছড়ির গণমাধ্যমকর্মী অপু দত্ত।
আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের মূল কটেজের চারপাশে অপরিকল্পিতভাবে লাগানো কিছু গাছ কেটে আলুটিলার মূল কটেজর আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে গত ১৮ জানুয়ারি নিজের ফেইসবুকে স্ট্যাটাস দেন সাংবাদিক অপু দত্ত। বিষয়টি প্রশাসনের নজড়ে আসার পর প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা বুধবার বিকালে সরেজমিন পরিদর্শন শেষে আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের মূল কটেজের আগের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেন।
এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন যাতায়াত এবং একাধিকবার সে কটেজে গেলেও তা চোখে না পড়া দু:খজনক বলে উল্লেখ করেন খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা মো: সালাহ উদ্দিন। তিনি বিয়ষটি তুলে ধরার জন্য সাংবাদিক অপু দত্তকে ধন্যবাদ জানান।
বিষয়টি ছোট হলেও খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে খাগড়াছড়ির অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোল্লা মো: মিজানুর রহমান বলেন, প্রতিদিন পর্যটকরা এখানে আসেন। কিন্তু এখান থেকে খাগড়াছড়ি শহরের আসল রূপটা দেখতে পারেননা বলে এখানে পর্যটকদের উপস্থিতিও ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে। আগের সৌন্দর্য্য ফিরে আসলে এখানে পর্যটকদের উপস্থিতি বাড়বে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
এদিকে পরিদর্শনকালে সাংবাদিক অপু দত্ত আলুটিলা পর্যটন কেন্দ্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একাধিক ডাস্টবিন স্থাপন এবং আলুটিলার প্রবেশ পথে খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্রের তথ্যচিত্র সম্বলিত একটি সাইন বোর্ড স্থাপনের প্রস্তাব করলে তা বাস্তবায়নের সিন্ধান্তের কথাও জানানো হয়।