এই আমড়া আছে?

AMRA PIC (1) copy

স্টাফ রিপোর্টার:

খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলায় একিই পরিবারে তিন আমড়া বিক্রেতার খবর পাওয়া গেছে। এই তিন আমড়া বিক্রেতা উপজেলার ৫নং উল্টাছড়ি ইউপির মৃত মজিদের ছেলে মো. ফিরোজ মিয়া (৫৩), মেয়ে রুবিয়া খাতুন (৪২) ও মেয়ে জামাই জামাল হোসেন (৫০)। এরা সবাই এক যুগের অধিক সময় ধরে পানছড়ির বিভিন্ন হাট বাজার ও অলি-গলিতে আমড়া বিক্রি করে আসছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মধুর সুরে একটু পর পর এই আমড়া আছে, আমড়া, বরিশালের মিষ্টি আমড়া বলে ডাকতে থাকে। সরেজমিনে মোল্লাপাড়া চেংগী ব্রিজের ত্রিমুখী রাস্তার পাশে কথা হয় রুবিয়া খাতুনের সাথে।

রুবিয়া জানায়, এই একিই জায়গায় দীর্ঘ দশ বছরের অধিক সময় ধরে আমড়া বিক্রি করছে। আর তার স্বামী ও ভাই দীর্ঘ ১৬ থেকে ১৭ বছর ধরে এ ব্যবসায় জড়িত। তিন থেকে চার মাস আমড়া বিক্রি শেষে আইসক্রিম, খিরা, জলপাইর আচার ও চালতার আচার বিক্রি করেই বছর শেষ করে। রুবিয়ার সংসারে রয়েছে ৫ ছেলে মেয়ে অপরদিকে ফিরোজ মিয়া সংসারে ৪ জন। বিকাল ৪টার দিকে একিই জায়গায় দেখা মিলে ফিরোজ মিয়া ও জামাল হোসেনের সাথে। দু’জনের মাথায় আমড়ার টুকরি ও হাতে টুকরি স্ট্যান্ড। তাদের সাথে আলাপকালে জানায় দু’জনেই ভাইবোনছড়া বাজার থেকে আমড়া বিক্রি করে এসেছে মাত্র।

রোববার, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবারে পানছড়ি, ভাইবোনছড়া ও লোগাং বাজারে হাট জমে তাই কেনা-বেচাও বেশ ভালো। এসব দিনে ৮শত থেকে ১হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। অন্য দিনগুলোতে ৪শত থেকে ৫শত টাকা হয়। রোদ বৃষ্টি উপক্ষো করে আমড়া বিক্রির আয় দিয়েই তাদের সংসার ভালোভাবেই চলছে বলে তারা জানায়। কেউ কেউ এ ব্যবসা করে ছেলে মেয়ের বিয়ের কাজও সেরে নিয়েছে।

কথা বলতে বলতে তিনজন লাইনে দাঁড়িয়ে ছুরি দিয়ে আমড়ার চামড়া নিমেষেই ছিলে চালিয়ে যাচ্ছে বেঁচা কেনা। ক্রেতা জয়নাল মেম্বারের ছেলে সেলিম, আনোয়ার, মোল্লাপাড়ার ইদ্রিছ মিয়া জানায়, দীর্ঘ বছর ধরে প্রতিদিন সাত সকালে বের হলেই চেংগী ব্রিজের ত্রিমুখী রাস্তার পাশে আমড়া বিক্রেতা রুবিয়া খাতুনের দেখা মিলে। একিই পরিবারের তিনজন আমড়া বিক্রেতার অক্লান্ত পরিশ্রম বেকার যুবকদের কর্মঠ ও উৎসাহি হয়ে স্বাবলম্বী হবে বলে তারা আশাবাদি।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন