উপজেলা নির্বাচন: চকরিয়ায় আ’লীগের মনোনয়নপত্র কিনলেন ৬ প্রার্থী

চকরিয়া প্রতিনিধি:

কক্সবাজারে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন ৬ আওয়ামী লীগ নেতা। রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা এই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

তারা হলেন, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহেদুল ইসলাম লিটু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফজলুল করিম সাঈদী, আওয়ামী লীগ নেতা নূরে হাবিব তসলিম।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রেজাউল করিম ছাড়া বাকী পাঁচজন এবারই প্রথম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে মাঠে নেমেছে। রেজাউল করিম ২০০৯সালে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী দীর্ঘ ২৫বছর ধরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদের তিনবার চেয়ারম্যান ছিলেন। এছাড়াও তিনি চকরিয়া উপজেলার কর্মীবান্ধব নেতা হিসেবে পরিচিত।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির প্রভাবশালী সদস্য আমিনুর রশিদ দুলাল ১৯৮৫-২০১৯সাল দীর্ঘ ৩৪বছরের রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী। তিনি কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।

চকরিয়ায় জাহেদুল ইসলাম লিটু আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে বেশ জনপ্রিয়। তিনি একমাত্র নেতা যিনি তিন দশক ধরে ধারাবাহিক ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত আছেন। ছাত্রলীগের দায়িত্বপালনের সময় তিনি চকরিয়া পৌরসভার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন। কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান ছিলেন।

ফজলুল করিম সাঈদী চকরিয়া তৃণমুল আওয়ামী লীগের সবচেয়ে আলোচিত নেতা হিসেবে খ্যাতি রয়েছে। তিনিও চকরিয়া পৌরসভার দুইবার কাউন্সিলর ছিলেন। এছাড়া তিনি শ্রমিক নেতা ও ক্রীড়াবিদ হিসেবে পরিচিতি রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা হাইকমান্ডের উপর তাকিয়ে আছে, কার হাতে উঠছে নৌকার প্রতীক। তাই একাধিক প্রার্থী হওয়ায় সিংহভাগ নেতাকর্মী নিবর ভূমিকা পালন করছেন।

গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘দলের জন্য দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছি। চকরিয়ায় দলের জন্য অনেক কষ্ট করেছি। তাই দলীয় সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যোগ্য মনে করে চেয়ারম্যান পদে আমাকে মনোনয়ন দেবেন বলেন আশা করছি।’

আমিনুর রশিদ দুলাল বলেন, ‘স্কুল জীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তিন যুগ ধরে দলের সাথে জড়িয়ে আছি। মুলত চকরিয়া উপজেলা পরিষদকে সত্যিকার অর্থে সেবামূলক ও জনবান্ধব প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। দল থেকে মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটে জয়ী হব। নির্বাচিত হলে চকরিয়ার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য় ফিরিয়ে আনা, উপজেলাবাসীর জলবদ্ধতা নিরসনসহ স্থায়ী বেরিবাঁধ নির্মাণ করাসহ নানা পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করব। তাঁর সাথে সাথে চকরিয়াকে ক্লিন-গ্রিন শহরে রুপান্তর, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবেশ বান্ধব, আধুনিক এবং নান্দনিকতায় পরিনত করাই তাঁর মূল লক্ষ্য। আমি শতভাগ আশাবাদী, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী  শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দিবেন।’

জাহেদুল ইসলাম লিটু বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে চকরিয়ার রাজপথে আছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের মতামতের ভিত্তিতে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে এসব বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন দেবে বলে মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি।’

ফজলুল করিম সাঈদী বলেন, ‘দল থেকে কখনো বিচ্যুত হয়নি। সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। দলের জন্য বার বার জেল-জুলুমের শিকার হয়েছি। তাই এবার দলের থেকে মনোনয়ন দিবে বলে শতভাগ আশা করছি।’

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন