উপজাতি কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ

পার্বত্যনিউজ রিপোর্ট:

চাকরির ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৫% উপজাতি কোটা উঠিয়ে দেয়ার সুপারিশ করেছে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার, বাতিল ও পর্যালোচনায় গঠিত সরকারি কমিটি। কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো শুধু উপজাতি কোটা নয়, বরং বিদ্যমান কোটা প্রায় পুরোটাই উঠিয়ে দেওয়া। এর পাশাপাশি মেধাকে প্রাধান্য দেওয়ারও সুপারিশও করা হয়েছে। তবে মুক্তিযোদ্ধা কোটা নিয়ে আদালতের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সোমবার (১৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও ওই কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শফিউল আলম।

পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী সামনে আসবে কীভাবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শফিউল আলম বলেন, তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছেন, তারাও (পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী) অনেক অগ্রসর হয়েছে।

মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, ‘কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) উঠিয়ে দেওয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেওয়া। তবে সুপ্রিম কোর্টের একটি রায় আছে যে মুক্তিযোদ্ধা কোটা প্রতিপালন করতে হবে। সংরক্ষণ করতে হবে। যদি পদ খালি থাকে, তবে তা খালি রাখতে হবে।’

মোহাম্মদ শফিউল আলম আরও বলেন, ‘সরকার আদালতের কাছে মতামত চাইবে। যদি আদালত বাতিল করে দেন, তবে কোটা থাকবে না। আর যদি আদালত বলেন, ওই অংশটুকু (মুক্তিযোদ্ধা কোটা) সংরক্ষণ করতে হবে, তাহলে ওই অংশ বাদে বাকি সবটুকু উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। এটা হলো প্রাথমিক তথ্য।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, তারা (কমিটি) নিজেরাও ওই রায় বিশ্লেষণ করেছিল। তবে তা পুরোপুরি বুঝতে না পারায় আদালতের মতামত চাওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, ‘এখন আমাদের সময় এসেছে উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় যাওয়া।’

শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার গত ২ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় দেওয়া হয়েছিল। পরে সময় বাড়িয়ে আরও ৯০ কর্মদিবস দেওয়া হয়।

Print Friendly, PDF & Email
Facebook Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আরও পড়ুন